২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

‘প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না’

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৫৮ অপরাহ্ণ, ০২ জুন ২০২৩

‘প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অতীতের মতো বৈষম্য, লুটপাটের দলিল এবং ঋণ নির্ভর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ জনগণের কোনো কল্যাণ হবে না। জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

রেজাউল করীম বলেছেন, অর্থমন্ত্রী উন্নয়নের কথামালা দিয়ে বাস্তবতাকে ঢাকার চেষ্টা করেছেন। বাজারে যে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে এটা স্পষ্ট করা হয়নি। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি’ এভাবে জাতির সাথে তামাশা করা হচ্ছে।

চরমোনাই পীর বলেন, বড় আকারের বাজেট দিয়ে মূলত জনগণকে ঋণ নির্ভর করা হয়েছে। ৫২ শতাংশ ঋণ বেড়েছে গত ৭ বছরে, যার দায় বইতে হবে আগামী প্রজন্মকে। ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যতার মধ্যে আছে, নতুন করে দরিদ্র হচ্ছে। ঢাকায় নতুন দরিদ্র হয়েছে ৫২ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ বাড়বে। দ্রব্যমূল্য কমাতে গেলে সরকারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে, ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়াতে হবে।

লুটপাট বন্ধ করতে হবে। না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবে না। আইএমএফের শর্তারোপের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে যে শর্তগুলো রয়েছে সেটা স্পষ্ট করা
হয়নি।

তিনি বলেন, ডলারের বিপরীতে স্বল্পতম সময়ে টাকার মারাত্মক অবমূল্যায়ন ও দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। অথচ এই বাজেটে তার কোনও সমাধান নেই। এ বাজেট আমলা ও লুটেরানির্ভর।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় চরমোনাই পীর বলেন, বিশাল অঙ্কের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণের কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানো মনঃতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে দুর্নীতিবাজ ও কালো টাকার মালিকদের তাদের অবৈধ টাকা সাদা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। বাজেটে বরাবরের মতো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করা হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন