২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ফনির তাণ্ডবে পটুয়াখালীতে গাছ ভেঙে পড়ে আহত ৩

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১২ অপরাহ্ণ, ০৩ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুয়াকাটা:: ঘূর্ণিঝড় ফনি’র প্রভাবে সাগর-নদ-নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ঝড়ে হাওয়া বইতে শুরু করে। দুপুর ১২টা ৫০ মিটিনের দিকে আকস্মিক প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়ায় বয়ে যাওয়ায় ঝড়ের তাণ্ডবে গাছ চাপায় উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মনষাতলী গ্রামের বাড়ি মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫), তার স্ত্রী মোসা. সূর্য্যভানু (৪০) এবং মোটরসাইকেল চালক মো. হাবিবুর রহমান মারাত্মক আহত হন।

আহতদের বিকাল ৩টার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসাহলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৬৫), মোটরসাইকেল চালক মো. হাবিবুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ঝড়োহাওয়ার পর পরই কলাপাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. শহিদুল ইসলাম জানায়, আমতলী-কলাপাড়া বিদ্যুৎ লাইন ঠিক আছে। ঝড়ের কারণে পটুয়াখালী-আমতালী বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিদ্যুৎসরবরাহ বন্ধর রয়েছে। সমস্যা শনাক্তের কাজ চলছে।

এদিকে উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া গ্রামের বিধ্বস্ত বেড়িবাধ এলাকা থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করে চারিপাড়া, পশরবুনিয়াসহ পাঁচি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া কলাপাড়ায় মেঘ রোদ্দুর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুক্রবার শেষ বিকাল পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বার বিপদ সঙ্গেক দেখে যেতে বলেছে। সমুদ্র তীরবর্তী কলাপাড়ায় শেষ বিকালের দিকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর চড়ম ভ্যাপসা গরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ধেয়ে আসার নমুনা দেখে কলাপাড়ার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সর্বস্তরের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’

কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি ও বেসরকারী অ্যাম্বুলেন্স, খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবার, মেডিকেল টিম, সিপিপিসহ ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মী এবং পুলিশ বাহিনীসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা কর্মচারী উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকে মোকাবেলা করার জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সিপিপি’র মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রশাসনের উদ্যোগে সমুদ্রতীরবর্তী এবং বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার এবং যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সাগর ও নদী থেকে মাছ ধরা সকল প্রকারে নৌকা, ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান জানায়, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসান সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সকল প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে শর্তক অবস্থায় রয়েছে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক এবং দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এনজিও এবং জিও যার যার অবস্থান থেকে দুর্যোগ মোকাবেরায় প্রস্তুত রয়েছে।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন