১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ফুলজানের বাঁচার আকুতি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৪ অপরাহ্ণ, ০৮ জুলাই ২০২১

ফুলজানের বাঁচার আকুতি

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) >> ৫৫ বছর বয়সী মোসা. ফুলজান বেগম। চার সন্তানের জননী তিনি। ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের দফাদার কান্দি এলাকার ভোলার বাপের বাড়ি তার। ফুলজানের স্বামী থাকলেও তিনিও অস্বচ্ছল। কাজ করতে পারেন না। ছেলেদের আয় দিয়েই চলতো ফুলজানের পরিবার। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি ফুলজানের। ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর মোসা. ফুলজান বেগমের শরীরে শনাক্ত হয় ফুসফুস ক্যান্সার। প্রথমে বুকে ব্যথা হতো। এরপর ডাক্তার দেখানোর পর ফুসফুস ক্যান্সারের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেন ফুলজান বেগম ও তার পরিবার। এর চিকিৎসার জন্য তারা দারস্থ হন চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিও থেরাপী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মো. ইউসূফের। এরপর থেকে তাঁর অধীনে চলে ফুলজান বেগমের চিকিৎসা।

প্রায় আড়াই বছরে ফুলজানের চিকিৎসার পিছনে ধার-দেনা করে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন পরিবারের লোকজন। করোনার কারণে বাড়িতে রয়েছেন ফুলজান বেগম। তবে প্রতি মাসে তার ওষুধের পিছনে খরচ হয় প্রায় ২১ হাজার টাকা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এখনও ৮-১০ টির মত থেরাপী দিতে হবে। যাতে খরচ হবে আরও ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত। ফুলজানের চিকিৎসার পিছনে আগেই ধার-দেনা করে ঋণগ্রস্ত হয়ে রয়েছে পরিবারটি। সামনের দিকের চিকিৎসা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবারের লোকজন। দিশেহারা হয়ে পরেছেন তারা।

তাই মাকে বাঁচাতে সকল বিত্ত ও হৃদয়বানদের সহযোগিতা চেয়েছেন ফুলজান বেগমের মেঝো ছেলে মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সামান্য বেতনের চাকুরি করি আমরা চার ভাই। তা দিয়ে নিজেদের পরিবার চালাতেই কষ্ট হয়। এর মধ্যে মায়ের ক্যান্সার ধরা পরে। তিনি তো মা। যত কিছুই হোক তাকে তো চিকিৎসা করাতে হবে। নিজেদের বেতনের পাশাপাশি মানুষের থেকে ধার-দেনা করে প্রায় আড়াই বছর চিকিৎসা চালিয়েছি। বর্তমানে করোনা চলছে। এতে করে নিজেদেরই চলতে কষ্ট হয়। মায়ের চিকিৎসা করাবো কি করে। সারাদিন মাথায় কেবল এই দুশ্চিন্তাই ঘুরে। তাই আমার মাকে বাঁচাতে সকলের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তার আবেদন করছি।

যেনো হায়াৎ থাকা পর্যন্ত আমাদের মা একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকেন। নিজেদের মায়ের কথা চিন্তা করে হলেও আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য আমাদের পাশে দাঁড়ান। সকলের সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা পাঠাতে পারেন ০১৭৫৪৪২২০৩১ (বিকাশ-নগদ), অথবা রুপালী ব্যাংক কালুর ঘাট শাখার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নম্বরে মো. হাফিজুর রহমান: ১৩৬৭৬ এ।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন