১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ফের উত্তাল বঙ্গোপসাগর, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৮ অপরাহ্ণ, ১৯ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক, কলাপাড়া:: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে ফের সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। খাল-বিল, পুকুর ও নালা পানিতে টই-টুম্বুর হয়ে রয়েছে। অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে বেশি পানি জমে যাওয়ায় রোপা আমন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। টানা বষর্ণে সবজির ক্ষেতে পানি জমে অনেকস্থানে পঁচে গেছে ক্ষেত। এদিকে বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে মৎস্য বন্দর মহিপুরের শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অস্বাভাবিক জেয়োরের পানিতে বেড়িবাঁধের বাইরে নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। মহিপুর ইউনিয়নের নিজামপুর, সুধীরপুর, কমরপুরে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া এলাকার বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে গ্রামের পার গ্রাম তলিয়ে গেছে। টানা বর্ষণে খুব কম সংখ্যক মানুষকে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। কাজ না পেয়ে দিনমজুর অনেকে বেকার হয়ে পড়েছে। পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দোকান পাট অনেকটা ছিল বন্ধ অবস্থায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে সবজির বাজারে তেমন কোন সবজি দেখা যাচ্ছে না। যে সকল সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তাও বেশিরভাগ বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে। তবে কাঁচা মরিচের মূল্য এমনিতেই বেশি, তার মধ্যে বর্ষার কারণে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।

জেলে জহিরুল আলম বলেন, আবহাওয়া খারাপের কারনে দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবৎ বেকার জীবন-যাপন করছেন। উপার্জন না থাকায় মহাজনদের দেনার বোঝা ভারি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

দিনমজুর মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হলে কোন না কোন কাজ পাওয়া যেত। কিন্ত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি থাকায় কাজ পাওয়া যাচ্ছে না।

সবজি চাষী মো. রায়হান বলেন, তার দু’বিঘা জমিতে বর্ষাকালীন সবজি রয়েছে। এতে পানি জমে ক্ষেতের অধিকাংশ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

আলীপুর ও কুয়াকাটা মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা বরিশালটাইমসকে জানান, এখন সাগর উত্তাল রয়েছে। সাগর ও নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অনেকটাই পানি বেড়ে গেছে। তবে সকল ট্রলারগুলো নোঙর করা অবস্থায় ঘাটে রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে এসব ট্রলার আবার মাছ শিকারে সাগরে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, বর্ষার কারণে ক্ষেতে পানি জমে থাকলে সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি কমে গেলে এর ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা সম্ভব হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন