২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে পবিপ্রবিতে মানববন্ধন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৩৪ অপরাহ্ণ, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন- পবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন- প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর আ ক ম মোস্তফা জামান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার আরিফ আহমেদ জুয়েল, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান টমাস, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাদল, পবিপ্রবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইলাম রাকিব এবং কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. মজিবর মৃধা প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- বঙ্গবন্ধু আমাদের অস্থিত্বের জায়গা। সেই অস্থিত্বকে আঘাত করা মানে বাংলাদেশকে আঘাত করা। শুধু বাংলাদেশ না, দেশের বাইরেও যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা, সম্মানের সাথে স্মরণ করা হচ্ছে, তখন এই মুজিববর্ষে এরকম ঘটনা ঘটেছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ এরকম ঘটনার প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

পবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ বলেন- স্বাধীনতার সময় কিছু কুচক্রিমহল যেমনভাবে এ দেশের মানচিত্রকে খামচে ধরেছিল, ঠিক সেভাবে এখনও একদল অপশক্তি তা করার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বীকার করে না, তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। যারা এদেশে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির জায়গা হবে না। আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন- ‘আমি একজন বাঙালী হিসেবে খুব লজ্জিত, শোকাহত। কারণ আমাদের বিজয়ের মাসে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, ঠিক সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীদের কর্মকাণ্ড।

ভাস্কর্য আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। ভাস্কর্যকে যারা ধারণ করতে পারে না তারা ইতিহাস-ঐতিহ্যকেই ধারণ করতে পারে না। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত করেছে তারা আমাদের রাষ্ট্রকে এবং স্বাধীনতাকেও আঘাত করেছে। এই অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। আমরা থেমে যাব না, আমরা আরও এগিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য একটার বদলে হাজারটা নির্মাণ করবো।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, সমন্বয় পরিষদসহ বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন