১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরগুনায় ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যাচেষ্টা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১৩ অপরাহ্ণ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বরগুনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হানিফ বয়াতি নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী কে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার রাত দশটায় বরগুনা সদরের বালিয়াতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হানিফ বরগুনা সদর বাবুগঞ্জ বাজার এলাকার শাজাহান বয়াতির ছেলে। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলাকারীরা হত্যার চেষ্টা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হানিফকে গলায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

তবে অবস্থার অবনতি হলে যে কোন সময় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

হামলায় অভিযুক্তরা হলো বরগুনা সদরের বালিয়াতলীর মজিবরের এর স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ও তাদের সহযোগী নজরুল সরোয়ার গাজী ওসমানসহ ১০/১২ জন।

আহত হানিফের মা জয়নাব বেগম জানান, হানিফ বয়াতির ছেলে সোহেল রানার সাথে পার্শ্ববর্তী বালিয়াতলী এলাকায় মজিবরের মেয়ে হাজেরার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পুত্রবধূ হাজেরা ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যশোর বিভাগের এক ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী সোহেল রানা জানতে পেরে স্ত্রী হাজেরা কে ওই পথ থেকে সরে আসতে বুঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্ত্রী হাজেরা তার প্রেমের সম্পর্ক আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। গত এক বছর পূর্বে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পরামর্শ করে স্বামী সোহেল রানাকে তালাক দেয়। পরে কয়েকদিন পর ওই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে গোপনে দেখা করে উধাও হয়ে যায়।
এদিকে উধাও হওয়ার বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে হাজরার মা ফিরোজা বেগম ও তার পরিবারের সহযোগীরা সোহেল রানা ও তাঁর পরিবারকে থানায় অপহরণ ও গুম মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
মামলা দেওয়ার কয়েকদিনের মাথায় ফিরোজা বেগমের নাটকীয়তা এলাকা প্রকাশ পেলে এলাকাবাসী ফিরোজ ও তার পরিবারকে ধিক্কার দেয়।
এরপর একের পর এক ফিরোজা বেগম ও তার পরিবারের সহযোগীরা সোহেল রানা ও তাঁর পরিবারকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সব প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি নিয়ে সোহেল রানার বাবা হানিফ বয়াতি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ফিরোজা বেগম ও তার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

ঘটনার দিন গত শনিবার হানিফ বয়াতি পার্শ্ববর্তী এলাকা বালিয়াতলী তে গেলে রাত দশটার দিকে ফিরোজা বেগম ও তার সহযোগী নজরুল সরকারি ওসমানসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী হানিফকে ঘিরে ফেলে একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হানিফের গলা কেটে রক্তাক্ত করে।
আহতের ট্রাক চিৎকারে পথচারীরা আসলে ফিরোজা বেগম সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত হানিফকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরগুনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় বরগুনা থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে বলে স্বজনরা জানান।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন