২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বরগুনায় অনিয়মের অভিযোগে সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৬ অপরাহ্ণ, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, বরগুনা :: বরগুনার পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়কে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন।

এসময় উৎসুক জনতা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মাসুম ও বরগুনা সড়ক ও জনপদের এসও তাইজুল ইসলামকে মারধর করেন।

সোমবার (১০ ফেরুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়কের সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের কাজীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এমপি রিমন পাথরঘাটা বেড়িবাঁধে স্লুইজ গেটের কাজ পরিদর্শন শেষে পাথরঘাটা পৌর শহরে ফেরার পথে সড়কের সংস্কারে অনিয়ম দেখায় কাজ বন্ধ করে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, রায়হানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়কে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলমান। এ কাজে সিলেট চান বালু ও টোপ বালু দেওয়ার কথা থাকলেও লোকাল বালু দিয়ে কাজ করছে তমা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে সিলেট চান বালুর কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। লোকাল বালু ও নিম্নমানের পাথর দিয়ে কাজ করছে। এজন্য কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক কষ্ট করে সরকারের কাছ থেকে কাজ আনা হয়েছে, এ কাজে এতো দুর্নীতি আর ফাঁকিবাজী হলে কয়েকমাস যেতেই আবারও কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি সহ্য করবেন না। আমিও এ দুর্নীতি সহ্য করবো না, এ জন্যই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, পাথরঘাটা-ঢাকা মহাসড়কে পাথরঘাটা থেকে কেরামতপুর ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। সড়ক ও জনপদের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তমা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া আবু হানিফ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ওই কাজে সিলেট চান বালু ও টোপ বালু দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা ব্যবহার না করে লোকাল বালু ব্যবহার করছে।

এমপি রিমন হঠাৎ পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের কাজিবাড়ি এলাকা পরিদর্শন করলে নিম্নমানের সামগ্রীর প্রমাণ পান। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাসুমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের এসও তাইজুল ইসলাম এলে তার কাছে জানতে চাইলে তিনিও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ সময় উৎসুক জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করেন।

এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার মো. আবু হানিফ মোবাইলে বলেন, আমরা সিলেট চান বালুসহ সঠিকভাবেই কাজ করছি।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন