১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরগুনায় ছাগলের পেটে ছুরিকাঘাত করলেন স্কুলশিক্ষক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:২৪ অপরাহ্ণ, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরগুনার বামনা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে একটি ছাগলের পেটে ছুরি বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি একটি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনার তদন্তেও নেমেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, অসাবধানতাবশত ঘটেছে এমন ঘটনা। অভিযুক্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম বামনার সারওয়ারজান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

রোববার (২৯ নভেম্বর) বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর এলাকায় এমন নির্মমতার শিকার হয়েছে ছাগলটি। এতে অবলা প্রাণীটির পাঁজর ভেদ করে পেটে ঢুকে যায় ছুরি। এতে কেটে গেছে ছাগলটির পাকস্থলী। আহত ছাগলটিকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের চিকিৎসকরা।

এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) তদন্ত শুরু করেছে বামনা থানা পুলিশ। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।

ছাগলটির মালিক বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের মো. সৈকত হাওলাদার বরিশালটাইমসকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছাগলটি মেরে ফেলার উদ্দেশে পাঁজরে ছুরি বসিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমি ও আমার পরিবারকে ক্ষতি করার উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘আমার জমিতে রোপণকৃত ধানের চারা এই ছাগল খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। তাই ছাগলের কাছ থেকে ধানখেত সুরক্ষিত রাখার জন্য আমি বেষ্টনী তৈরি করছিলাম। এমন সময় ফের খেতে এসে ধানের চারা খাওয়া শুরু করে এই ছাগলটি। তখন আমি ছাগলটি তাড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশে হাতে থাকা ছুরিটি ছাগলটির দিকে ছুঁড়ে মারি। এতে ছাগলের শরীরে ছুরিটি বিদ্ধ হয়।’

তিনি আরও বলেন- আমি বুঝতে পারিনি যে, ছুঁড়ে মারা ছুরিটি এভাবে ছাগলের পেটে বিদ্ধ হবে! একজন শিক্ষক হয়ে এ ধরনের কাজ করা একদম সঠিক হয়নি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মরত ড্রেসার মো. শেলিম খান বরিশালটাইমসকে বলেন, ছুরিবিদ্ধ হয়ে ছাগলটির পাকস্থলী চার ইঞ্চির মতো কেটে গেছে। ছাগলটির বাঁচার সম্ভাবনা কম জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী ছাগলটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বামনা থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন