২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরগুনায় মাঝখান দিয়ে ভেঙে গেছে লোহার ব্রিজ, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২১ অপরাহ্ণ, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, বরগুনা:: বরগুনা তালতলী উপজেলার তালতলী খালের ওপর নির্মিত আয়রন ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙে আটকে আছে। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ, পর্যটক ও শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের সওদাগরপাড়া ও সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া বাজারকে কেন্দ্র করে এবং দুই পাড়ের মানুষের চলাচলকে সহজ করার জন্য ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সংযোগ লোহার ব্রিজটি নির্মাণ করে। গত ২০ জানুয়ারি সকালে হঠাৎ ব্রিজের মাঝখান দিয়ে পশ্চিম পাশ দেবে যায় এবং ভেঙে পড়ে আটকে থাকে। এতে ব্রিজের ওই অংশটি যেকোনো সময় খালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তালতলী খালের দুই পারে সওদাগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবিরাজপাড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কারিগরি), হরিনখোলা দাখিল মাদ্রাসা ও কবিরাজপাড়া এইচএম মারকাজুল কুরআন মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ আয়রন ব্রিজ পার হয়ে চলাচল করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা পর্যটন এলাকা গৌয়ামতলা, ইকোপার্ক, শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে যেতে এ ব্রিজটি ব্যবহার করেন। ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজটি পারাপার হওয়ায় যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সওদাগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবিরাজপাড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (কারিগরি) শিক্ষার্থী সবুজ, জুলেখা, রাইমা, সজীব, সুরাইয়া বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় এখন আমাদের স্কুল ও মাদরাসায় যেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা ভয়ে ভয়ে আসা-যাওয়া করি। কখন দুর্ঘটনা ঘটে তা বলা যায় না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা জানান, ব্রিজটি প্রায় ভেঙে পড়ায় আমরা কৃষিপণ্য নিয়ে সময়মত বাজারে আসতে ও যেতে পারি না। আমাদের বিকল্প পথে ১০-১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে তালতলী উপজেলা সদর হয়ে আসতে যেতে হয়। এতে সময় ও খরচ দু-ই বেশি হচ্ছে।

সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী মুঠোফোনে বলেন, ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী বরিশালটাইমসকে জানান, ব্রিজটি দেবে ভেঙে পড়ার খবর শুনে তা পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত এখানে একটি নতুন আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করতে পারবো।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন