১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

বরগুনা/ বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৮ গ্রাম, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২৬ অপরাহ্ণ, ১৫ জুলাই ২০২২

বরগুনা/ বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত ১৮ গ্রাম, ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরগুনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হচ্ছে হাজারও মানুষের। এছাড়া মাছের ঘের ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকে।

অপরদিকে পূর্ণিমার প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় কয়েক শত পরিবারের রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। পাথরঘাটার ট্যাংরা, হাড়িটানা, কোরালিয়া, গহরপুর, নিজলাঠিমারা, রুহিতা, হাজির খাল, বাদুড়তলা, চরলাঠিমারা এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে শতাধিক পুকুর ও ১০টি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।

এসব এলাকার স্থানীয়রা জানায়, তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া এলাকায় জোয়ারের তীব্র স্রোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অস্থায়ী বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। ওই এলাকার ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে পাথরঘাটার কোরালিয়া খালের বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। জোয়ারের পানির তোড়ে একাধিক স্থাপনা ও বসতঘরের মালামাল ভেসে গেছে। পাশাপাশি মৎস্য খামারেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে দুই থেকে তিন ফুট পানি প্রবেশ করেছে।

তালতলীর তেতুলবাড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আমার বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে, এখন বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের যাবার কোনো জায়গা নেই। জন্ম থেকে পায়রা নদীর পাড়েই থাকি। সরকার কোনো বেড়িবাঁধ দেয় না।

এই এলাকার আরেক বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, বাঁধ ভেঙে আমার মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাকে।

বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের মনির জোমাদ্দার বরিশালটাইমসকে বলেন, পায়রা নদীর পাড়ে আমাদের বসতবাড়ি। তিনবার বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। দুই একদিনের মধ্য বেড়িবাঁধ ভেঙে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। চরম উৎকণ্ঠার মধ্য আমরা আছি। যেকোনো সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে আমাদের বসতবাড়ি ভেসে যেতে পারে। বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে জাঙ্গালিয়া, রামরা ও পাতাকাটার কয়েকশ পরিবারের বসতঘর ভেসে যাবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর বরিশালটাইমসকে বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সংস্কারের জন্য বালির জিওব্যাগ পাঠানো হচ্ছে পানির তোড় সামলাতে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ বরিশালটাইমসকে বলেন, শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে যাব। মানুষের উপকারে যা যা করণীয় তা আমরা করব।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন