১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরগুনা-২: কে হচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থী?

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৮ অপরাহ্ণ, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

বরগুনা-২ (বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী কে হচ্ছেন- তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।

একদিকে বাংলাদেশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং এ আসন থেকে তিন বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকেই দলটি মনোনয়ন দিয়েছে। দুজনই তাঁদের দলের পক্ষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকতার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বরগুনা-২ আসনের একাধিক বিএনপি সমর্থক সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, দু‌ই হেভিওয়েট প্রার্থীকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে। এঁদের ভেতর থেকে শেষ পর্যন্ত কাকে দল ধানের শীষ প্রতীক দেবে তা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা চলছে। একদিকে বিএনপির দুঃসময়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। সে দিক বিবেচনা করলে দল তাঁকেই হয়তো শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করবে।

অন্যদিকে, খন্দকার মাহবুব হোসেন এ পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই জয়লাভ করতে পারেননি। সে বিবেচনায় এ আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনবারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনিকেও বিএনপি ধানের শীষ প্রতীক দিতে পারে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ দুইবারের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলায়।

এদিকে, নুরুল ইসলাম মনির বাড়ি একই এলাকায়। বরগুনা-২ আসনের সবচেয়ে বেশি ভোটার পাথরঘাটায়। এখানে মোট ভোটার ১২০৫৮৩। সে দিক বিবেচনায় পাথরঘাটা থেকে বিএনপির শক্ত প্রার্থী দিলে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে দাবি বিএনপি সমর্থক ভোটারদের।

বামনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, ‘বিএনপির দুঃসময় বিগত ১০টি বছর অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সকল নেতাকর্মীদের আইনিসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন। এসব বিবেচনায় তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত। তবে এটাও ঠিক যে দল যাকে প্রার্থী করে আমাদের মাঝে পাঠাবে আমরা তাঁর পক্ষেই কাজ করব।’

এ ব্যপারে বিএনপির অপর প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন স্যার বিএনপির জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। তাঁর এই ত্যাগকে আমি সম্মান জানাই। কিন্তু আমিও বিগত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য। বামনা-পাথরঘাটার সকল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি যা এলাকার সাধারণ মানুষ এখনো হৃদয়ে ধারণ করে আছে। স্যারের এখন অনেক বয়স হয়েছে। তাঁর পক্ষে তিনটি উপজেলা ঘুরে ঘুরে নির্বাচনী প্রচারণা করা প্রায় অসম্ভব। আমার বিগত বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা করছি।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন