১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে কাউন্সিলর রনির নারী কেলেংকারি, তরুণীর ধর্ষণ মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৯ অপরাহ্ণ, ১৬ মে ২০২২

বরিশালে কাউন্সিলর রনির নারী কেলেংকারি, তরুণীর ধর্ষণ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: প্রথমে মোবাইলে সম্পর্ক, পরে প্রেম, সর্বশেষ সেই সূত্র ধরে এক তরুণীকে বাসায় ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ- এমন অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সংক্ষুব্ধ ওই তরুণী সোমবার সকালে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। বরিশাল সিটির ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনিকে একক আসামি করে মামলার আবেদনটি সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক আমলে নিয়ে তা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্তপূর্বক বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এই মামলার দায়েরের মধ্যদিয়ে তরুণ কাউন্সিলর রনি নারী কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়লেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়Ñ অনেকটা নাটকীয় ভাবে শহরের কালুশাহ সড়কের বাসিন্দা ওই তরুণীর সাথে পলাশপুরের রনির প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কাকতলীয়ভাবে মোবাইল আলাপের সূত্র ধরে সম্পর্কের একপর্যায়ে উভয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন স্থানে একত্রিত হন। সম্প্রতি রনি সদ্য এইচএসসি উত্তীর্ণ ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে মানসিকভাবে দুর্বল ফেলেন। এবং বিভিন্ন অজুহাতে ওই তরুণীকে বাসায় নেওয়ার কৌশল নেন। ৪ থেকে ৫ মাসের সম্পর্কের শেষান্তে গত সাত মে ওই তরুণী পলাশপুরে রনির বাসায় যান। বিকেলের দিকে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন। পরদিন আবারও তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে একই আচারণ করা হয়।

এরপর থেকে রনি তরুণীকে এড়িয়ে চলছিলেন। ১২ মে ওই তরুণী রনির বাসায় উপস্থিত হয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় রনি তরুণীর সেলফোন কেড়ে নিয়ে তাদের মধ্যকার আলাপন এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের প্রেম সম্পর্কিত আলামত নষ্ট করে ফেলে। পরে ধাক্কা দিয়ে তরুণীকে বাসা থেকে বের করে দেন। অবশেষে সেই ঘটনার ৪দিনের মাথায় ওই তরুণী আইনের আশ্রয় নিতে আদালতের স্মরণাপন্ন হন।

আদালত সূত্র জানায়, তরুণীর আবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন আমলে নিয়েছেন। এর আগেই সকালে ওই তরুণী চুপিসারে আদালতে উপস্থিত হন। জানা গেছে- কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার অনুসারী হওয়ায় ওই তরুণী নিজের নিরাপত্তা নিয়ে এখন চিন্তিত। তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, তার নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে আদালতকে অবহিত করা হয়নি।

এদিকে রনির কাছে এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেলফোনে সেলফোনে যে কথা বলেন- তাতে উল্টো ওই তরুণী উত্যক্তকারী হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেন। রনির দাবি ওই তরুণীকে তিনি চেনেন না, বা কখনও দেখেননি। তবে ঈদের পূর্ব থেকে তাকে হটস্আপে প্রেমপ্রস্তাবসহ নানা কথা বলে দুর্বল করার চেষ্টা করছিল। বিষয়টি যখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌছে যায়, তখন ১২ মে তিনি সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানায় তরুণীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।’

থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, তিনি নথি না দেখে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। এদিকে এই ধর্ষণ মামলা দায়েরের খবর চাউর হয়ে যাওয়ায় কাউন্সিলর রনির নারী কেলেংকারি নগরীতে আলোচনায় বেশ স্থান পেয়েছে।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন