২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে ক্লিনিকে সেন্টারে সহকারি প্রকৌশলীকে মারধর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ২৭ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল শহরের বগুড়া রোডের সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকে সেন্টারে সরকারি একটি দপ্তরের কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকেলে তার ভাগিনাকে ক্লিনিকে নিয়ে আসেন এবং হাবিবুর রহমান নামের এক ডাক্তারকে দেখান। চিকিৎসাসেবা শেষে সরকারি কর্মকর্তা আর্থিক লেনদেনের রশিদ চাইলে চিকিৎসক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এসময় বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী ডেকে এনে প্রকৌশলীকে মারধর করান চিকিৎসক। উপায়ান্ত না পেয়ে প্রকৌশলী জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সেবা চাইলে কোতয়ালি পুলিশ গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে চিকিৎসক হাবিবুর রহমান শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম জানান, তার ভাগিনা সুমন গাজীর বাম হাতের একটি আঙ্গুল গত ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই আঙ্গুলের চিকিৎসার জন্য বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডের সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমানের সাথে গত ৫ অক্টোবর ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। ওইদিনই চুক্তির সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন। তবে টাকা পরিশোধের কোন রশিদ তাদের দেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত ২১দিন শেষে সোমবার দ্বিতীয় অপারেশন করেন ডা. হাবিবুর রহমান। এরপর রোগীর কাছে আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। এই টাকা না দিলে রোগীর ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ওই ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার কারণ জানতে চান এবং আগের নেওয়া টাকার বিলের পরিশোধিত রশিদ চান ডা. হাবিবুর রহমানের কাছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডা. হাবিবুর রহমান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে তিনি মুঠোফোনে বহিরাগতদের ডেকে এনে প্রকৌশলী শহীদুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

তবে রোগীর আঙ্গুল অপারেশনের জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা চাওয়া হয়নি এবং রোগীর স্বজন শিক্ষা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি করেন সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান। তার দাবি, টানাটানিতে তার শার্টের বোতাম ছিড়ে যেতে পারে।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন- ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন