২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশালে জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের সঙ্কট!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, ২৮ মার্চ ২০২০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: বরিশালের ফার্মেসিগুলোতে জ্বর, সর্দি-কাশি জাতীয় রোগের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত বুধবার থেকে সারাদেশে টানা ১০ দিনের ছুটি কার্যকর হওয়ার পর এ ওষুধগুলোর সংকট দেখা দেয়।

ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জ্বর-ঠান্ডা জাতীয় রোগের ওষুধ প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিম্যালেরিয়াল, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন কিনতে গত রোববার থেকে ফার্মেসিগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। এক এক প্রকারের ওষুধ ১০ পাতারও বেশি কিনে মজুদ করেছেন অনেকে। অন্যদিকে ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় ফার্মেসিগুলোতে এখন এসব ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

নগরীর পাইকারি ও খুচরা ওষুধ বিক্রির অন্যতম প্রতিষ্ঠান জেলখানা মোড় এলাকার বিষ্ণুপ্রিয়া ফার্মেসি। প্রতিষ্ঠানটির মালিক হরিমোহন কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, গত চার মাসে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টিম্যালেরিয়াল, ভিটামিন সি, অ্যাজিথ্রোমাইসিন জাতীয় ওষুধ যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছে, গত চার দিনে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ওষুধ কোম্পানিগুলোতে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে তারা জানিয়েছেন, ওষুধ তৈরির কাঁচামালের সংকট রয়েছে। এ কারণে তাদের সরবরাহ করতে সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ১৫ দিন পর এসব ওষুধ আর বাজারে পাওয়া যাবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

নগরীর বটতলা বাজার সংলগ্ন নাফি ফার্মেসির মালিক মীর হাসান মোর্শেদ সাংবাদিকদের জানান, গত চার দিনে জ্বর-ঠান্ডার ওষুধের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। যারা এক পাতা ওষুধ কিনতেন, তারা ১০ পাতা কিনেছেন। তিনি বলেন, এ সুযোগে পাইকারি দোকানেও দাম বেড়েছে। চার থেকে পাঁচ দিন আগে নাপা ৫১০ পিস ট্যাবলেটের বক্স কিনেছেন ৩৫৮ টাকায়। বর্তমানে ওই বক্স কিনতে হচ্ছে ৩৭৫ টাকায়।

নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের জন্য একটি ফার্মেসি থেকে জ্বরের জন্য ১০ পাতা নাপা, সর্দির জন্য ১০ পাতা অ্যালাট্রল ও কাশির জন্য তিন বোতল সিরাপ কিনেছেন। সেনাবাহিনী নামলে রাস্তায় বের হওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে- এ আশঙ্কায় আগেই প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে রাখার কথা জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় জ্বর, সর্দি-কাশি বা সামান্য গলা ব্যথা হতে পারে। আমাদের অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের প্রবণতা আছে। ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। মজুদ করার প্রবণতা থাকলে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা সাংবাদিকদের জানান, ওষুধ সংকটের কথা তার জানা নেই। তবে অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধের সংকট থাকতে পারে। এ কারণে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ উৎপাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন