২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে ধর্ষিত কলেজছাত্রী আত্মঘাতি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩৭ অপরাহ্ণ, ১৯ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ায় লোকলজ্জা ও ক্ষোভে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন ফারজানা আক্তার (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী।

ফারজানা আক্তার উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব রবিপুর গ্রামের সালাম ফরাজীর মেয়ে এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালঘুনি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

১২ জুন রাতে প্রতিবেশীর ফাঁকা বাড়িতে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে কবাই এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে মো. রাজিব। এতে সহযোগিতা করে রাজিবের বন্ধু একই এলাকার তরিকুল ইসলাম, শাওন গাজী, শাওন ফরাজী, রাসেদ ও জোবায়ের। রাতভর ধর্ষণের পর সকালে বন্ধুদের সহায়তায় ফারজানাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায় তারা। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ায় ওই দিনই ক্ষোভে-অপমানে বিষপান করেন ফারজানা।

এরপর অসুস্থ ফারজানাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল ভর্তি করেন স্বজনরা। ১৬ জুন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ফারজানার স্বজনরা জানান, ১২ জুন রাতে ফারজানার বাড়ির পাশে বনভোজনের আয়োজন করা হয়। বনভোজনে ফারজানা অংশ নেন। সেখানে প্রতিবেশী রাজিবও অংশ নেয়। রাতে রাজিব তার বন্ধুদের সহায়তায় ফারজানাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা রাসেদের ফাঁকা ঘরে নিয়ে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে রাজিব। রাতে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন বাবা সালাম ফরাজী।

পরদিন সকালে রাজিব বন্ধুদের সহায়তায় ফারজানাকে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। পরে ফারজানা ধর্ষণের বিষয়টি বাবাকে জানান। বাবা সালাম ফরাজি মেয়েকে অপমান করেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ওই দিন সকালে লোকলজ্জা ও ক্ষোভে বিষপান করেন ফারজানা। অসুস্থ অবস্থায় তাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৬ জুুন মারা যান ফারজানা।

মামলার বাদী ও নিহতের বাবা সালাম ফরাজী বলেন, ফারজানাকে ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার বাকেরগঞ্জ থানায় রাজিবের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে রাজিবের বন্ধু তরিকুল ইসলাম, শাওন গাজী, শাওন ফরাজী, রাসেদ ও জোবায়েরকে আসামি করে মামলা করি। তবে একজনও গ্রেফতার হয়নি। ধর্ষক ও খুনিদের কঠোর শাস্তি চাই আমি।

এ বিষয়ে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাঈদ বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালনো হচ্ছে। তবে ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে আসামিরা। দ্রুত এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন