২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালে পেঁয়াজ নিয়ে হাহাকার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৩২ অপরাহ্ণ, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরাদ্দ না থাকায় টিবিসির খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে এখনো খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।

এ কারণে বরিশালবাসীর মাঝে পেঁয়াজ নিয়ে হাহাকার পড়ে গেছে। যদিও ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রয়কারী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ৫টি ট্রাক সেলের স্থলে ৭টি ট্রাক করা হয়েছিল।

ট্রাক সেলের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত ৪৫ টাকা মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম করে তারা। কিন্তু বুধবার ট্রাক বেড় হলেও তাতে ছিল না অতি কাঙ্ক্ষিত সেই পেঁয়াজ।ট্রাকে পাওয়া যায় তেল, চিনি ও মসুরের ডাল।

তাই গত তিন দিনের মতো ছিল না মানুষের দীর্ঘ লাইন। উল্টো ভোক্তাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও না পাওয়ার হাহাকার দেখা গেছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, পেঁয়াজ যা ছিল তা বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি শনিবার থেকে আবার পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হবে। তবে এবার অনেক বাড়তি আসবে। জাহাজ থেকে পেঁয়াজ আনলোড করতে যে কয়দিন লাগে, তার পর বরিশালবাসীর চাহিদা মেটানো হবে।

নগরীর যেসব স্পটে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি করত সেসব স্থানে গিয়ে দেখা গেছে ট্রাক নেই। দুইটি স্পটে ট্রাক সেল হচ্ছে। তবে সেখানে নেই মানুষের ভিড়। সবাই পেঁয়াজ চাচ্ছিল। কিন্তু ট্রাক দুটিতে শুধু মাত্র তেল, চিনি ও মসুরের ডাল রয়েছে। ট্রাক দুইটি হচ্ছে রানা এন্টারপ্রাইজ ও অর্থি স্টোরের। অর্থি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ও রানা জজ কোর্টের সামনে এসব পণ্য বিক্রি করছে। পরিবারের জন্য পেঁয়াজ নিতে আসা মো. মনির নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি নগরীর বরিশাল কলেজের সামনে থেকে পেঁয়াজ নিতে এসেছিলাম। কিন্তু কোথাও পেঁয়াজ পেলাম না। মঙ্গলবারও এসেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ লাইন থাকায় নিতে পারিনি। তাই বুধবার এসেছিলাম। তিনি বলেন, খুচরা বাজারে ২৫০ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কিনে খেতে পারি না।

এ ব্যাপারে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আনিসুর রহমান বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজ শেষ হয়ে গেছে। এর আগে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে সরকার। যার অংশ হিসেবে ২০ নভেম্বর থেকে বরিশালেও এই কার্যক্রম শুরু হয়।

তিনি বলেন, মাঝখানে আমদানি কম থাকার কারণে ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে দ্বিতীয় দফায় বরিশাল অঞ্চলের জন্য ৬২ টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়ায় ১ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু তাও শেষ হয়ে গেছে। তবে আবার বরাদ্দ আসবে। খুব শিগগিরই বরাদ্দ পেলে নতুন করে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা যাবে।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন