বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০২:৩৮ অপরাহ্ণ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কৌশল পরিবর্তন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকার ফলে তারা প্রকাশ্য কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আসতে পারছে না। তাই কৌশল পরিবর্তন করে প্রগতিশীল মানুষের সাথে মিশে যাচ্ছে। তাদেরকে সম্মুখে রেখে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। মূলত: তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আজকাল কিছু কিছু প্রগতিশীল মানুষও লোভাতুর হয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করে থাকে। কবি-ছড়াকার-লেখক-সাহিত্যিক সমাজের অন্য দশজনের থেকে একটু আলাদা কারণ তাদের রয়েছে সৃজনশীল চিন্তা, দূরদর্শিতা, সচেতনতাবোধ সর্বোপরি কুসংস্কার থেকে নিজেকে বের করে আনার এক অনন্য শক্তি। এই মানুষগুলোর মধ্য থেকে যখন কেউ কেউ লোভ-লালসায় আকৃষ্ট হয়ে প্রতিক্রিয়াশীলদের ফাঁদে পা দেয় তখন এক বুক কষ্টে দম বন্ধ হবার উপক্রম হয়।
বক্তারা বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সবসময়ই টার্গেট নিয়ে কাজ করে। আমরা যেন তাদের টার্গেটের শিকার না হই। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। অতিথি হওয়া বা পদক প্রাপ্তি যেন আমাদের পেয়ে না বসে। আমাদের সরলতাকে কেউ যেন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে প্রগতির পথে। আমাদেরকে আরও আরও দায়িত্ব নিয়ে প্রগতির এই ধারাকে সচল রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে একটু সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখতে হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আগামী ২ বছরের জন্য কবি সালেহ্ মাহমুদ শেলীকে সভাপতি এবং কবি শোভন কর্মকার কৃষ্ণকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।