১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে 4G নির্ধারিত গতি নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫২ পূর্বাহ্ণ, ০৪ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে চালু করা হয় চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফোরজি। প্রযুক্তিটি চালুর এক বছর পেরিয়ে গেলেও ফোরজিতে প্রকৃত সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
সম্প্রতি দেশের ফোরজি সেবার মান নিরীক্ষা করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চার বিভাগের ১৮ জেলায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ফোরজি সেবা নিরীক্ষা করে আশানুরূপ গতি পায়নি বিটিআরসি। ঢাকাতেও ফোরজির ডাউনলোড গতি সাত এমবিপিএস দিতে পারেনি অপারেটরগুলো। অর্থাৎ গ্রাহকদের ফোরজির প্রকৃত সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে অপারেটরগুলো। এবার খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করেছে বিটিআরসি। সেখানে দেখা গেছে, অপারেটররা সবচেয়ে নিম্নমানের সেবা দিচ্ছে বরিশালে।

ফোরজির জন্য সর্বনিম্ন সাত এমবিপিএস গতিতে সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও বাংলালিংক ফোরজিতে তিন দশমিক ৫৬ এমবিপিএস স্পিডের ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। এছাড়া গ্রামীণফোনের ফোরজি ইন্টারনেটের গতি পাঁচ দশমিক এক এমবিপিএস। অন্যদিকে রবির আছে চার দশমিক ৮৯ এমবিপিএস গতি। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক যেহেতু ঢাকার বাইরে এখনও ফোরজি নিয়ে যেতে পারেনি, তাই ড্রাইভ টেস্টের এই অংশটিতে তারা হিসাবের মধ্যে আসেনি।
এদিকে থ্রিজির নির্ধারিত দুই এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড অন্য অপারেটরগুলো নিশ্চিত করলেও কোনো বিভাগেই টেলিটক আবার সেটি দিতে পারেনি। অন্যদিকে ভয়েস কলের মানের প্রশ্নে আসলে দেখা যাচ্ছে, বিটিআরসি নির্ধারিত কল ড্রপ দুই শতাংশ হলেও এই বিভাগে টোলিটকের কল ড্রপ আছে সাত দশমিক ৯২ শতাংশ। তাদের কল ড্রপ রেট রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগে আছে নির্ধারিত সীমার বাইরে। গ্রাহকদের ফোন করার সময় অপারেটরগুলোর কল সেটআপের জন্য নীতিমালায় যে সাত সেকেন্ড সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তাও মানা হচ্ছে না।

দেশে ফোরজি চালুর পর থেকে নেটওয়ার্ক সমস্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশে উন্নত প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর গ্রাহক বাড়লেও আমাদের দেশে সেবার মান কমছে। দেশে ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও তা মানসম্পন্ন নয়। এতে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা খারাপ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রযুক্তির দিকে সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাণিজ্যিক খাত সমৃদ্ধ হচ্ছে। মানুষ এখন কাজের প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অথচ ফোরজি চালুর পর থেকে নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। ফোরজিতে ‘নেটওয়ার্ক’ সিনক্রোনাইজেশনের সময় নেটওয়ার্কগুলোতে সমস্যা আরও বাড়ছে। এছাড়া নেটওয়ার্কের বিস্তৃতির তুলনায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি হলে সমস্যা বাড়ে। কিন্তু আমাদের দেশে যে পরিমাণ মোবাইল গ্রাহক, সে অনুযায়ী সেবা দেওয়ার জন্য নেটওয়ার্ক সক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়নি।

তারা আরও জানান, দেশে যে হারে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, তুলনামূলকভাবে সে হারে নেটওয়ার্কের উন্নতি হয়নি। অসহ্য কল ড্রপ ও কথা বোঝা না যাওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে অধিকাংশ গ্রাহকেরই অভিযোগ ঢাকার ভেতরে নেটওয়ার্কের অবস্থা কিছুটা ভালো পাওয়া গেলেও মফস্বলের অনেক জায়গায় নেটওয়ার্ক থাকে না। আবার কিছু এলাকায় নেটওয়ার্ক থাকলেও সেইসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কল ড্রপ হয়।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন