২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে এএসআই পলাশের চাঁদাবাজি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০১ অপরাহ্ণ, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

বরিশাল মেট্টোপলিটন কাউনিয়া থানার বহুল আলোচিত সমালোচিত উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পলাশ মাদক অভিযানের নামে দেদারছে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কখনো নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পকেটে মাদক গুজে দিয়ে অর্থনৈতিক ফাঁয়দা লুটছে।

এএসআই পলাশের নির্ধারিত চাঁদার অর্থ কেউ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে নানা কায়দায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। ভয় দেখাচ্ছেন ক্রসফায়ারে মেরে ফেলারও। ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এরকম অভিযোগ কাউনিয়া থানা এলাকার শান্তিপ্রিয় নারী পুরুষের।

সর্বশেষ অর্ধ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ভাটিখানার পান্থ সড়কের ওয়াব খানের ছেলে রফিকুল ইসলাম সুমনের কাছে। কয়েকদিন ধরে তাকে মাদক মামলায় জড়িয়ে দেয়াসহ নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্ধারিত চাঁদার টাকা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। কিন্তু সুমন সাফ জানিয়ে দেয়-আমি নি:স্ব, আর আমিতো মাদক ব্যবসাও করি না।

অর্থাৎ চাঁদার টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করার পরও তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন পলাশ। পলাশ হুঙ্কার দিয়ে বলছে- তোর খবর আছে, তুই ভাটিখানায় থাকাতো দূরের কথা চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবি। এরপরের দিন ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যারাতে কাউনিয়া সাবান ফ্যাক্টরী থেকে সবুজ নামের এক যুবককে ১০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেন এএসআই পলাশ।

ওই মামলার আসামী করা হয় রফিকুল ইসলাম সুমনকে। অথচ আটক সবুজকেও চিনেন না সুমন। এবং মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গেও সে সম্পৃক্ত নয়। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে- সুমন অনেক আগে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। পরবর্তীতে পুলিশ কমিশনারের কাছে মুচলেকা দিয়ে মাদক ব্যবসা থেকে সরে এসে স্বাভাবিক জীবন যাপন করে আসছে। রফিকুল ইসলাম সুমন বলেন- আমি মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত না থেকেইও এখনও অসাধু পুলিশ সদস্যরা আমাকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে।

কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন- পুলিশ কমিশনারের কাছে মুচলেকা দিয়ে মাদক ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আমি স্বাভাবিক জীবন যাপন করে আসছি। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করে সংসার চালাচ্ছি। এককথায় মানবেতর জীবন যাপন করছি, তবুও মাদকের সঙ্গে আমার কোনো ধরণের রাখছি না। এক শ্রেণির অসাধু চাঁদাবাজ পুলিশ আমার কাছে চাঁদাদাবিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।

সুমন বলেন- এখন আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সুমন আরও বলেন- এএসআই পলাশ এর চাঁদার টাকা না দেয়ার কারণে আমাকে নতুন করে মাদক মামলায় জড়িয়ে দেয়।

এ প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্টোপলিটনের পুলিশ কমিশনারের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন রফিকুল ইসলাম সুমন ও তার পরিবার।

এসব প্রসঙ্গে এএসআই পলাশ বলেন- সাবন ফ্যাক্টরী থেকে মাদকসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় আরও কেউ আসামি হয়েছে কি না এরকম প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এএসআই পলাশ বলেন- ওই অভিযানে খাইরুল স্যারও ছিলেন।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন