২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে মামলার বাদী নারীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীতে যৌতুক মামলার বাদী হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারী (৩০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নারী গত ছয়দিন যাবত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌতুক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল বরিশাল আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে তাকে তুলে নিয়ে গণধষর্ণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা এই নারীর অভিযোগ মামলার আসামি তার স্বামী প্রবীর মিত্র শহরের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে তাকে আটকে সহযোগিদের নিয়ে গণধর্ষণ করেছেন।

কিন্তু এই বিষয়ে কোন ধরণের তথ্য নেই বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে।

তবে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বজনেরা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী নেছারাবাদ উপজেলার কুড়িয়ানা আদাবাড়ি গ্রামের বিনেন্দ্র মিত্রের পুত্র প্রবীর মিত্রর সাথে তার সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। ওই সময় বর পক্ষের দাবি অনুযায়ী যৌতুকের নগদ দুই লাখ টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিয়ের আট মাস পর প্রবীর মিত্র ও তার পরিবারের সদস্যরা পূর্ণরায় এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে প্রায়শই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো স্বামী পরিবার।

সর্বশেষ যৌতুকের টাকার জন্য তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে সর্বশেষ বরিশাল আদালতে দুটি মামলা করেছেন।

ওই মামলার ধার্য তারিখে গত ১৬ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দেন তিনি। সেখান থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার নাকে চেতনানাশক স্পে দিয়ে অচেতন করে। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান তাকে একটি নির্জন ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে যৌতুক মামলার আসামি তার স্বামীসহ বেশ কয়েকজন দাড়িয়ে ছিলেন।

এসময় স্বামীসহ সহযোগী সকলে তাকে একে একে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি ফের অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় একটি সড়কের পাশে পড়ে রয়েছেন। এসময় তিনি পথচারীদের ডেকে তাকে হাসপাতালে প্রেরণের অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে শেবাচিমে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করেন নারীর স্বজনেরা।

এই বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন- সোমবার সন্ধ্যার পরে খবর পেয়েছেন এই ধরণের ঘটনার শিকার এক নারী শেবাচিমে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জানার পরে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান ওসি।’

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন