২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে, ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৮ অপরাহ্ণ, ১৫ মার্চ ২০১৮

বরিশালে ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

সাংবাদিক সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- মহানগর (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) স্বপন ও আক্তার এবং কনস্টেবল মাসুদুল হক, রাসেল, হাসান, রহিম ও সাইফুল।

তদন্ত কমিটির এক সদস্য বরিশালটাইমসকে জানান, ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন সুমন হাসান, অভিযুক্ত ৮ পুুলিশ সদস্য, প্রতক্ষদর্শীসহ ২০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। তদন্তে ৮ পুুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ৮ পুুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডিবিসির নির্যাতিত ক্যামেরাপারসন সুমন হাসান জানান- মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে এক নিকটাত্মীয়কে গোয়েন্দা পুলিশে আটকের খবর পেয়ে তিনি নগরীর বিউটি রোডের ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি জানতে চান।

এ সময় যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশ তার পরিচয় জানতে চায়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়েই তার ওপর চড়াও হয় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

এ সময় প্রকাশ্যে তার পরনে থাকা টি-শার্ট টেনেহিঁচড়ে এবং পেটাতে পেটাতে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পথিমধ্যে তার অন্ডকোষ চেপে ধরাসহ অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এছাড়া সাংবাদিক ও তাদের পরিবার নিয়েও নানা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।

খবর পেয়ে তার সহকর্মীরা নগরীর পলিটেকনিক রোডে নগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যায়। সেখানে নির্যাতিত সাংবাদিক সুমনকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় কাঁদতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য সাংবাদিকরা।

এ সময় সাংবাদিক সুমনকে নির্যাতনকারী প্রধান অভিযুক্ত কনস্টেবল মাসুদুল হক একজন সাংবাদিককে লাথি দেয়। এতে সাংবাদিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সাংবাদিকরা প্রতিবাদ মুখর হলে মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই দলে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের ৮ সদস্যকে তাৎক্ষণিক পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

ঘটনা তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রুনা লায়লার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়।’

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন