২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বরিশালে সেই কাভার্ডভ্যান চালক একদিনের রিমান্ডে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১৮ অপরাহ্ণ, ২১ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:: ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে চাপা দেয়া যমুনা গ্রুপের কভার্ডভ্যানের সেই চালক জলিল মিয়াকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার দুপুর ২টার বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম শামীম আহম্মেদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার এসআই আব্দুল মালেক একই আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। আদালত তখন রিমান্ড আবেদনটি গ্রহণ করে আসামির উপস্থিতিতে গতকাল শুনানির দিন ধার্য করেছিল।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার (জিআরও বন্দর থানা) এসআই মিলি খানম জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মালেক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত চালক জলিল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া চালক জলিল মিয়া টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর পৌরসভার পুস্তকামারি এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিন সিকদারের ছেলে।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি জিরোপয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া। কাভার্ডভ্যানটি সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন।

এ সময় চালক জলিল মিয়া কাভার্ডভ্যানটি না থামিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন