১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল ছাত্রলীগ নেতা প্রাঙ্গনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, চলছে অপপ্রচার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, ২২ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: একটি খোড়া অজুহাতে বরিশাল ছাত্রলীগ নেতা প্রাঙ্গন খানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাকে ঘায়েল করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে কতিপয় ব্যক্তি-বিশেষ। গুটিকয়েক পত্রিকায় নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ প্রকাশসহ সামাজিক যোগাযোগ্য মাধ্যমে ঢালাওভাবে অপপ্রচার চালানো নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ ছাত্রলীগ নেতার পরিচিতজন এমন কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে উপস্থান করে এবং প্রাঙ্গনের শাস্তি দাবি করায় এর নেপথ্যে যে বিশেষ মহলের ইন্ধন আছে প্রকাশ পেয়ে গেছে। নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক কলোনী (কেডিসি) এলাকার কবির নামের ব্যক্তি করা সাধারণ ডায়েরিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গালিগালাসের অভিযোগ আনা হলেও স্থানীয় প্রতিপক্ষরা প্রাঙ্গনকে মস্তবড় সন্ত্রাসী হিসেবে প্রশাসনিক মহলে চিহ্নত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। যার দরুণ উচ্চশিক্ষিত এই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য-উপাত্ত্ব গল্প-কাহিনীর আদলে তাদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা প্রাঙ্গন যে স্থানীয় রাজনীতির শিকার সেসম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনও ইতিমধ্যে অবগত হয়েছে। কারণ কবির নামের ওই ব্যক্তি সাধারণ ডায়েরি করার পর তদন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার আদ্যপান্ত নিশ্চিত হতে প্রাঙ্গনসহ উভয়কে ডেকেছিলেন। কিন্তু প্রাঙ্গন পুলিশ কর্মকর্তা ডাকে সাড়া দিয়ে কাছে আসলেও কবির কর্ণপাত করেননি। ফলে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।

একাধিক সূত্র জানায়, কবির পুলিশের ডাকে সাড়া না দিলেও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা প্রাঙ্গনকে বেকায়দায় ফেলতে কৌশলী পথ অবলম্বন করে এবং মিডিয়ার দুয়ারে কড়া নাড়ে একটি সংবাদের আর্জি জানিয়েছে। অবশ্য এই খবরও ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়ে গেছে, যা নিয়ে ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা জানিয়েছেন, কবির ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী ও প্রাঙ্গন ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ চেয়েছিল বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে একটি সুরহা করার। কিন্তু ছোট্ট এই বিষয়টি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরবর্তীতে মিডিয়ায় প্রকাশ করে প্রাঙ্গনকে বিতর্কে ফেলায় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ কবিরের ওপর রীতিমত তিক্ত-বিরক্ত। বিশেষ করে প্রাঙ্গনের সাথে বাকবিতন্ডার একটি ফোনালাপ কবির নিজের ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ায় বিতর্ক আরও জোরালো রুপ নিয়েছে।

অবশ্য ছাত্রলীগ নেতা প্রাঙ্গন দাবি করেছেন, অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে একটি কেক বানাতে দিয়ে তা আনতে গেলে জানা যায় কবির দোকানিকে টাকা দেয়নি। এই বিষয়টি ফোন করে জানতে চাইলে কবিরের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় মুঠোফোনে কবির গালাগাল করলে আমিও পাল্টা গালি দেই। কিন্তু কবির এই গালাগালের রেকডিংটি সুপার এডিট করে তার বলা অংশ বাদ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন। এবং কোতয়ালি মডেল থানায় আমার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে।

নগরীর জর্ডান রোড এলাকার বাসিন্দা সাবেক বিজিবি সদস্য’র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জানান, কবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই রুমা আক্তার তাকে ডেকে পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এসময় কবিরকে ফোন করে একাধিকবার ডাকলেও তিনি আসেননি। ফলে অভিযোগটি যে হয়রানির উদ্দেশে করা হয়েছে, তা পুলিশও কিছুটা আঁচ করতে পেরেছে। অথচ এই ঘটনাটিকে বড় আকারে উপস্থাপন করে ফেসবুকের পাশাপাশি নানান গল্প-কাহিনী পত্রিকায় প্রকাশ করে তরুণ ছাত্রলীগ নেতাকে বেকায়দায় ফেলতে একের পর এক ষড়যন্ত্র চলছে।

এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়াসহ ফেসবুকসহ সকল অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা প্রাঙ্গন। তিনি বলেন- অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কোতয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন