২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশাল পুলিশের উদ্যোগকে ঘিরে ষড়যন্ত্র!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:১৫ অপরাহ্ণ, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯

শাকিব বিপ্লব  :: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ও জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চলমান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ওপেন হাউজ ডে কর্মসূচি বিতর্কিত করতে একটি মহল বিশেষে অপতৎপরতা পুলিশ প্রশাসনকেই ভাবিয়ে তুলেছে। অনুষ্ঠানসমূহের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত জনপ্রতিনিধিদের নামে বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ তুলে এই বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রতীয়মাণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিডিয়াকে ব্যবহারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ কোতয়ালি মডেল থানায় গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে’তে আমন্ত্রিত কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারকে মাদক বিক্রেতা হিসেবে অভিহিত করে অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাখা নিয়ে কয়েকটি মিডিয়ায় নৈতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করে।

পুলিশের অনুষ্ঠানে মাদক বিক্রেতা অতিথি কেন এমন প্রশ্নে পুলিশ প্রশাসন বিস্ময় প্রকাশ করেছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, প্রকাশিত এই সংবাদের প্রতি তাদের দৃষ্টি নিবন্ধন হয়েছে। তাদের বিবেচনায় এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ দু:খজনক। উপরন্ত আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশের এই উদ্যোগ অন্তরায় সৃষ্টির প্রয়াস হিসেবে মনে করছে।

পুলিশের ভাষ্য- প্রতিটি ওপেন হাউজ ডে’তে এলাকা বিশেষ সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর উদ্দেশ হচ্ছে তাদের মাধ্যমে জনগণের মাঝে পুলিশের এই উদ্যোগ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া। অবশ্যই এই ধরনের অতিথিদের রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড পুঙ্খানুপুঙ্খানুভাবে তদন্ত করেই আমন্ত্রণের তালিকায় রাখা হয়। ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আ’লীগ নেতা বাহারের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে অতীত জীবনে বাহার কী ছিলেন মুখ্য নয়, বিবেচ্চ্য বিষয় হচ্ছে বর্তমান সময়কালে বাহারের বিরুদ্ধে সমাজ বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন অভিযোগ রয়েছে কী না। কিন্তু কোন একটি মহল বাহারের তরুণ জীবনের ইতিহাস এখন সামনে টেনে এনে ওই ওপেন হাউজ ডে’তে তাকে অতিথি করার যৌক্তিকতা মিলাতে চাইছে। পুলিশের ধারণা সম্ভবত অতিথি করা নিয়ে স্থানীয় কোন মহল নাখোস হওয়ায় তারাই এই ধরনের অপপ্রচারে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে। পাশাপাশি পুলিশের আয়োজনকে বিতর্কিত করে ভিন্ন কোন উদ্দেশ হাসিলের পরিকল্পনা রয়েছে কী না সেটাও ভাবনার বিষয়।

এ প্রসঙ্গে বাহারের পক্ষ থেকেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এই ওয়ার্ড কাউন্সিলরও একই ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন- রাজনীতির আভ্যন্তরীণ বিরোধ অথবা অতিথি হিসেবে কেউ বঞ্চিত হওয়ায় তারাই এ ধরনের হীনতৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন- সমসাময়িককালে তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তার অকট্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে তিনি আইনে আওতায় যেকোন শাস্তি মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে ইতিপুর্বে রাজনৈতিক আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে শায়েস্তা করার বেশ কয়েকটি ঘটনাকে এখন সামনে টেনে এনে নয়া ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এমনটি ইঙ্গিত করেন। অথচ আইন আদালতে তিনি নির্দোষ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিলেন। বাহারের মুল সন্দেহ ওয়ার্ড কাউন্সিলর হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অপর কোন এক প্রার্থী ষড়যন্ত্র উসকে দিতে সহায়ক ভুমিকা রাখছে।

গতকাল ওপেন হাউজ ডে আয়োজন শেষের পরপরই কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় বাহারকে নিয়ে সমালোচনা এবং পুলিশের উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ করে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন ও বিভিন্ন মহলে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদ্দুর জানা গেছে- এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার এই উদ্যোগ পুলিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়েছে। কারা কী উদ্দেশে এই তৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত তা তদন্তে গুরুত্বরোপ করে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে বলে পুলিশের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।’

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন