২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০০ অপরাহ্ণ, ১১ জুলাই ২০১৭

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হকের বিরুদ্ধে। লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের নিয়ম থাকলেও পরীক্ষা না নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন করছেন তিনি। এমনকি যাদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন তাদের মধ্যে অযোগ্যরাও রয়েছেন।

আপগ্রেডেশন (কর্মকর্তা) নীতিমালা লঙ্ঘন করে এসব অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া যোগ্য প্রার্থীরা যাতে সংরক্ষিত কোটায় আবেদন করতে না পারেন সে জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাদ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতিকালে বিষয়টি একাধিক জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা সংবাদ আকারে প্রকাশ করায় খবরটি টক অবদা কান্ট্রিতে পরিনত হয়েছে। কিন্তু তার পরেও ভিসি অযোগ্য প্রার্থীর চাকরিতে টানতে অনঢ় রয়েছেন বলে শোনা যায়।

সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী, শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহণ, নিয়োগযোগ্য প্রার্থী বাছাই, পরীক্ষা শেষে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রার্থীদের নিয়োগদানের বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রক্রিয়াগুলোর কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করছে না। এ অবস্থায় গত ৯ জুলাই রোববার থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৩০টি পদের মধ্যে ৩৮টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এসব পদের বিপরীতে এক হাজার ৭৪৭ আবেদন পড়েছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, সব পদেই প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি চাকরিবিধি অনুসরণ করেই নিয়োগপ্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘যাঁরা যোগ্য তাঁদেরই নিয়োগ পরীক্ষার কার্ড দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৩৮টি পদের বিপরীতে এক হাজার ৭৪৭ আবেদন পড়েছিল। তাঁদের মধ্য থেকে নিয়োগ পেতে পারেন এমন যোগ্য ৯৬৭ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে ৩৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি বা কোনো ধরণের অনিয়ম হবে না। ’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যেভাবে চাইবে সেভাবেই হবে। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের জন্যই লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোনো অযোগ্য ব্যক্তি শুধু মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ না পান। ’

তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, ‘সকল প্রার্থীকে প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু উপ-রেজিস্ট্রার ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে গত ৯ জুলাই শুধু মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু এই অস্বচ্ছ পক্রিয়ার বিষয়টি চাউর হয়ে গেলে তিনি তাতে ব্যর্থ হন।

খোঁজ খবর নিয়ে আরও জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৩৯টি পদে নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই পদের বিপরীতে এক হাজার ৭৪৭ আবেদন পড়ে। নিয়োগযোগ্য ৩৯টি পদের বিপরীতে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বাছাই করা ৯৬৭ জনকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়।

সহকারী প্রকৌশলী (অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার) একটি পদের বিপরীতে ৪জন আবেদন জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে একজন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তাই এই পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন অন্য পদগুলোর নিয়োগ পরীক্ষা গত ৯ জুলাই শুরু হয়ে ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

এক্ষেত্রে বিষ্ময়কর বিষয় হচ্ছে- উপরেজিস্ট্রার ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দুটি পদই পঞ্চম গ্রেডের। কিন্তু উপরেজিস্ট্রার পদে যোগ্যতা চাওয়া হয় ১২ বছরের অভিজ্ঞতা। আর উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে যোগ্যতা চাওয়া হয় ৮ বছরের অভিজ্ঞতা। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, ‘সহকারী রেজিস্ট্রার/সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে উপরেজিস্ট্রার/উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে আপগ্রেডেশন পেতে হলে বর্তমান/সমমান-এর পদে ৮ বছর, তন্মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ’

 

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে- উপরেজিস্ট্রার পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপ আবেদন করেছিলেন। কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা অনুযায়ী তিনি যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় তিনি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাননি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপরেজিস্ট্রার পদে কর্মরত এক নারীও আবেদন করেছিলেন। তিনিও প্রবেশপত্র পাননি।

উপরেজিস্ট্রার পদে ৮জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে দুজনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার পদে ৯ মাস দুই দিন ধরে কর্মরত মাকসুদুর রহমান একজন।

পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. মাহবুব হাসানের ঘনিষ্ঠজন তিনি। একই পদে কার্ড পেয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খায়রুল ইসলাম। পাবনা সদর উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের এই বাসিন্দা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী এক সদস্যের নিকটাত্মীয়। এ দুই প্রার্থীর উপরেজিস্ট্রার পদে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ড. মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য নন। নিয়োগ কমিটির সদস্য। মাকসুদুর রহমানকে তিনি চেনেন না। তিনি আদৌ কার্ড পেয়েছেন কি না, সে ব্যাপারেও জানেন না বলে জানান ড. মাহবুব। তবে তিনি স্বীকার করেন যে সেকশন অফিসার পদে কর্মরত কেউ উপরেজিস্ট্রার পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নন।

নিশ্চিত হওয়া গেছে, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের একটি পদের বিপরীতে ৪জন আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে দুজনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাযযাদ উল্লাহ মো. ফয়সাল মৌখিক পরীক্ষার জন্য কার্ড পেয়েছেন। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ওই পদে তাঁর চাকরির অভিজ্ঞতা ৪ বছর দুই মাস।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত ঢাকা কমার্স কলেজে করণিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ যোগ্যতায় সাযযাদ উল্লাহ উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদে নিয়োগ পরীক্ষার কার্ড পেতে পারেন না।

এ দুটি পদে প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী না নিতে চাইলেও পরবর্তীতে ৯ জুলাই বিকেল ৪টায় ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে ওই দুই পদে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেঝে সহকারী পদে এগিয়ে থাকার তালিকায় রয়েছেন তামান্না শারমিন, দিদার হোসেন খান এবং খান সানজিয়া সুলতানা। তাদের নিয়োগ প্রায় চূড়ান্ত বলে অনেক আগেই শোনা গেছে। এ পদে ৬৫ জন আবেদন করেছিলেন। যাচাইয়ের পর পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় ৩৭ জনকে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানিয়েছে, তামান্না শারমিন ২০১২ সালে সেকশন অফিসার-২ পদে নিয়োগ পান। বিধি লঙ্ঘন করে পরের বছরের ২৯ জুন তামান্নাকে সেকশন অফিসার পদে পর্যায়োন্নয়ন দেওয়া হয়। সহকারী রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেতে সেকশন অফিসার পদে চার বছরের অভিজ্ঞতাও তাঁর নেই। সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে মো. মিজানুর রহমান ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) পদে বরুণ কুমার দে-কে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়।

অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে, মিজানুর রহমান ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের তৃতীয় শ্রেণির কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় শ্রেণির প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পান তিনি। পরের বছর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই অস্থায়ী ভিত্তিতে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালে তিনি ওই পদে স্থায়ী নিয়োগ পান। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তাঁকে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বরুণ কুমার দে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি করপোরেশনে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ বরিশাল সিটি করপোরেশন ছেড়ে এসে যোগ দেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার পদে তিনি দুই বছর ৯ মাস ধরে কর্মরত আছেন। কিন্তু এ পদের জন্য তিন বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে।

 

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সেকশন অফিসার পদে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। ৬টি পদের বিপরীতে ৭৮৬টি আবেদন পড়লেও যাচাই-বাছাই শেষে ৫৮৪টি আবেদন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। উপাচার্যের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে থাকা মো. মনোয়ার হোসেন কম্পিউটার অপারেটর পদে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন।

চাকরির চার বছরে তিনি চারবার পদোন্নতি পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সেকশন অফিসার (অস্থায়ী) দুলশাদ বেগম বিথি, কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত মনোজ কুমার বৈরাগীকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে, কোষাধ্যক্ষের আত্মীয় পটুয়াখালীর বাসিন্দা দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারী শাহিদা বেগম, অস্থায়ীভাবে ডেমনস্ট্রেটর (দ্বিতীয়) পদে কর্মরত সাইফা আলম ও সিন্ডিকেট সদস্য শফিউর রহমানের নিকটাত্মীয় কম্পিউটার অপারেটর সানিয়া আকতার তৃতীয় শ্রেণির পদ থেকে প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগ পরীক্ষার কার্ড পান। মনোজ কুমার বৈরাগী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের বয়স ৩০ বছরের বেশি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাচার্য মহোদয় যা আদেশ দেন, তাই নীতিমালা। উপাচার্যের নির্দেশেই প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য কার্ড দেওয়া হয়েছে। ’’

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রজ্ঞাপন রয়েছে যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনির কোটা হিসেবে ৩০ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই সব পদে আবেদনের বয়সসীমাও ৩২ বছর থাকবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোটার বিষয়টি উল্লেখ নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধা আসমত আলীর ছেলে এম এ বায়জিতের পক্ষে আমি চলতি বছরের ২১ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারসহ সাতজনকে আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছি।

নোটিশ প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হলেও তাঁরা কোনো চিঠি দেননি। এরপর বিধি অনুযায়ী আমরা আইনগত ব্যবস্থার দিকে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।’

16 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন