২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বরিশাল-ভোলায় ইকোনোমিক জোনের সম্ভাব্যতা যাচাই হবে

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:২৬ অপরাহ্ণ, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

বরিশাল-ভোলায় ইকোনোমিক জোনের সম্ভাব্যতা যাচাই হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল ও ভোলায় ইকোনোমিক জোনের সম্ভাব্যতা যাচাই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান।মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৩ এর প্রথম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং পরিকল্পনা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

ড. মসিউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকদের প্রশ্ন ছিল, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাতে বরিশাল শহরে ইকোনোমিক জোন অথোরিটির আঞ্চলিক অফিস, ভোলায় ইকোনোমিক জোন, বরিশালের অন্য কোথাও ইকোনোমিক জোন করার সম্ভাবনা আছে কি না। এর বাইরে নরসিংদীতে ইকোনমিক জোন করা যায় কি না।

যে উত্তর পাওয়া গেছে, তা হলো সবগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই করার পর যদি দেখা যায়, এগুলো করা সম্ভব, তাহলে করা হবে।

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকায় এই প্রসঙ্গ ওঠেনি।

রাজস্ব আদায় নিয়ে ড. মসিউর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ে ২০২২ সালে তাদের একটি প্রস্তাব ছিল, নওগাঁর সাপাহারে একটি শুল্ক ষ্টেশন যেন স্থাপন করা হয়।

তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, নওগাঁর কাছাকাছি রহনপুর ও এর পাশে আরও একটি শুল্ক স্টেশন আছে। সেখানে আরও একটি শুল্ক স্টেশন করা যুক্তিসঙ্গত নয়।

আরও একটি বিষয় ছিলও, এই রাস্তা (সাপাহার) দিয়ে কী জিনিস রপ্তানি করা যায়? সেখানে একটি উত্তর লেখা ছিল।

যেখানে বলা হয়েছে, ভারত আমাদের কাছ থেকে এসব বন্দর দিয়ে কী জিনিস আমদানি করবে তার কোনো সাড়া আমরা পাইনি। তবে আমার এখানে মনে হয়, এই উত্তরের ভেতরে অনেক কিছু প্রচ্ছন্ন হয়তো আছে।

তা হলো, আমরা যে জিনিস রপ্তানি করি, আর ভারত যে জিনিস আমদানি করে, এর সবগুলো করা যায়। তবে সব শুল্ক স্টেশনের সক্ষমতা এক রকম নয়। এজন্য আমরা কখনো কখনো আইটেম রেস্ট্রিক্ট করে দিই।

এখানে যেহেতু ভারতের দিক থেকে তারা কী আমদানি করতে চায়, সে বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি, সেজন্য এখানে রপ্তানির আইটেমগুলো নিদিষ্ট করা হয়নি।

সামনে রমজান, জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি, মূল্যস্ফীতিও হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সম্মেলনের এই সেশনে জেলা প্রশাসকদের কোনো কনসার্ন ছিল কি না বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এ সেশনে কোন প্রশ্ন ওঠেনি।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার সময় এ বিষয়ে তারা কোনো আলোচনা করবে কি না, তা আমি জানি না।

সকালে তিন দিনব্যাপী ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন