২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকায় যানবাহনে জাকিরের চাঁদাবাজি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৫১ অপরাহ্ণ, ১৮ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র নাম ভাঙিয়ে লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় যানবাহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাকির নামের এক ব্যক্তি নিজেকে আলফা মাহিন্দ্রা শ্রমিক সংঘঠনের পরিচয় দিয়ে এই চাঁদাবাজি করছেন। বিশেষ করে নৌ বন্দরের টার্মিনাল এলাকায় রাতে অবস্থানরত যানবাহনগুলো থেকে হাজার হাজার টাকা উত্তেলন করছেন তিনি।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে- রাতে নৌ বন্দর এলাকায় অবস্থানরত আলফা মাহিন্দ্রা থেকে ৩০ থেকে ৫০ এবং ট্রাক থেকে ৬০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত তুলছেন জাকির। অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন মালিক বা শ্রমিকরা টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে নিজেকে মেয়রের লোক দাবি করে ভয়ভীতিও দেখানো হচ্ছে।

নৌ পুলিশ বরিশাল সদর থানার পাশে দীর্ঘদিন যাবত চলমান এই চাঁদাবাজির বিষয়টি সম্পর্কে সকলে অবগত থাকলেও নেই কোন প্রতিকার। এমনকি সেখানকার পুলিশও রয়েছে নিরব। অবশ্য অভিযোগ রয়েছে চাঁদাবাজির একটি অংশ পুলিশের পকেটে যাচ্ছে। যদিও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগটি সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে।’

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, মাহিন্দ্র ও আলফা শ্রমিক সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে দুলাল সহযোগিতায় জাকির দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা উত্তোলন করছেন। এই জাকিরের বাড়ি শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কালিজিরা নামক এলাকায়। তিনি প্রতিনিয়ত অন্তত শতাধিক যানবাহন থেকে অর্থ উত্তোলন করছেন। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক শ্রমিক তাদের রোষানলেও পড়েছেন। তখন তারা সিটি মেয়রের লোক পরিচয় দিয়ে শ্রমিকদের ভয়ভীতিও দেখান। সাম্প্রতিকালে চাঁদাবাজির কারণে তাকে শ্রমিকরা মারধরও করে। ফলে কিছুদিন টাকা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হয়েছে।

তবে এই চাঁদাবাজি অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির বলছেন, তিনি সেখানকার গার্ড হওয়ায় প্রতিরাতে গাড়ি থেকে চাঁদা তোলেন। কিন্তু সেই গার্ডের চাকুরি কে দিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। পরক্ষণে বলেন শ্রমিক নেতা দুলাল তাকে মেয়রের নাম বলে যানবাহন থেকে টাকা তুলতে বলেছেন।

এই বিষয়ে জানতে সেই দুলালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে বরিশাল নৌ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বলছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে একজনকে ধরে আনা হয়েছিল। কিন্তু আলফা মাহিন্দ্রা যানবাহনের মালিক শ্রমিক সংগঠনের পরিচয় দিয়ে অনেকে এসে মুচলেকা দিয়ে তাকে নিয়ে যায়। ওই সময় ফের কোন টাকা তুলবে না বলেও অঙ্গীকার করে। কিন্তু এখন আবার চাঁদাবাজির বিষয়টি আমি শুনেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন