২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বর্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা মেরামত কারিগররা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:২১ অপরাহ্ণ, ০৬ জুলাই ২০২০

মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল:: এখন বর্ষা মৌসুম। আর এ মৌসুমে প্রকৃতির মূল উপাদান হচ্ছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে চলাচলে প্রধান ভরসা হচ্ছে ছাতা। তাই বর্ষা মৌসুম এলেই বেড়ে যায় ছাতার কদর। তবে সবার পক্ষে নতুন ছাতা কেনা সম্ভব হয় না। তাই অনেকেই পুরাতন ছাতা মেরামত করার জন্য ছুটে যায় ছাতা মেরামতের কারিগরদের কাছে।

ফলে বৃষ্টির মৌসুম এলেই ছাতা মেরামতের ধুম পড়ে যায়। তখন ছাতা কারিগরদেরও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তেমনি দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার পুরাতন স্বপন সিনেমার হল সংলগ্ন বাজার রোড এলাকায়। একই চিত্র দেখা গেছে উপজেলার কালিশুরী, কালাইয়া, নুরাইনপুর ও বগা বন্দরসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরেও।

বর্ষার সময়ে ছাতা হাতে বের হলেও রোদ উঠলেই ছাতা নেয়ার কথা আর মনে থাকে না অনেকের। আবার বছরের বেশীরভাগ সময় ছাতা ব্যবহারের অভ্যাস না থাকায় অনেক সময় ছাতা হারিয়েও ফেলেন কেউ কেউ। বর্ষা চলে গেলে আবার কিছু দিনের জন্য ছাতার কদর ফুড়িয়ে যায়। অনেকটা সময় জুড়ে ঘরের কোনেই পড়ে থাকে। হয়তো কোথাও ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রকৃতিতে যেই বৃষ্টি ঝরার পালা শুরু হয় তখনই খোঁজ নেয়া হয় কোথায় আছে বৃষ্টির বন্ধু ছাতাটি।

ছাতা মেরামতে বহু বছরের অভিজ্ঞ বাউফল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা ছাতা মেরামতের কারিগর আঃ গনি জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বছরের ছয় মাস এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো তালা ও চার্জার লাইট মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি ছাতা মেরামত করে ৫শ’থেকে ৭’শ টাকা আয় করেন।

এবার করোনার কারণে কাজ একটু কম জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ছাতা মেরামতের সময় কোনো জিনিস ফেলে দেওয়া হয় না। নতুন করে পয়েন্ট দেয়ার পর ওই ভাঙ্গা টুকরা রেখে দেয়া হয়। যাদের ছাতায় সমান্য খুত আছে সেখানে তা বসিয়ে দেয়া হয়।

আরেক ছাতা কারিগর হেমায়েত বলেন, আমি এ পেশায় ২০ থেকে ২৫ বছর আছি। বছরের এ সময়ে আয় বেশি হতো। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগার কম হচ্ছে।

ছাতা মেরামত করতে আসা উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন মাতুব্বর জানান, একটি ছাতা এক বছরও যাচ্ছে না। তাই বর্ষা শুরু হওয়াতে পুরাতন ছাতাটিও মেরামত করার পাশাপাশি নতুন আরেকটি ছাতা ক্রয় করার কথা ভাবছি।

কালাইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জালাল শরীফ জানান, কখন বৃষ্টি নামবে কেউ জানে না। এ সময়ে ছাতা না থাকলে কি আর চলে। তাই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়াতে নতুন একটি ছাতা ক্রয় করেছি।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন