২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ দখল করল নেপালের কুয়াশা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:০১ অপরাহ্ণ, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: নেপাল ও ভারতের বিহারের ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে বাংলাদেশ। নেপালের দক্ষিণ, বিহারের উত্তর ও পশ্চিমে থাকা সমতল ভূমি এবং জলভাগে সৃষ্টি হয় জলীয়বাষ্প, যা বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে। আর তা ভোর নাগাদ ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশেও।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীতে সর্বনিম্ন দৃষ্টিসীমা রেকর্ড করা হয়েছে ৫০ মিটার। ফলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকে ৭ ঘণ্টা।

সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সার্ক আবহাওয়া কেন্দ্রের সাবেক বিজ্ঞানী আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, হাড় কাঁপানো শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশাও বেশ দাপট দেখাচ্ছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় কুয়াশার মাত্রা এ বছর বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারেও নেমে এসেছে। তিনি বলেন, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা তিন হাজার মিটার বা তার কম হলে তাকে বলা হয় ‘পুওর ভিজিবিলিটি’। সাধারণত বিমানবন্দরে দৃষ্টিসীমা কমে গেলে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়।

আবহাওয়াবিদরা জানান, কুয়াশাকে বলা হয় ‘লো ক্লাউড’ বা নিচের স্তরের মেঘ। শীতের সময় তাপমাত্রা কম থাকে এবং মাটিতে থাকা আদ্রতা উপরে উঠে গিয়ে কুয়াশার সৃষ্টি করে। এ ছাড়া ‘অ্যাডভেকশন ফগ’ বা মাটির তুলনায় বাতাস উষ্ণ এবং আদ্রতা বেশি থাকার কারণে যে কুয়াশা তৈরি হয়ে ভেসে বেড়ায়, সেগুলো ভারত থেকে বাতাসের তোড়ে বাংলাদেশে চলে আসে।

এ ছাড়া কুয়াশা তৈরির পেছনে রয়েছে বাতাসের আদ্রতা ও তাপমাত্রার পার্থক্য। তবে এবার রাতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার আগেই কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। আবার জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের মতো হয় এবং এর সঙ্গে যোগ হয় ধুলা ও গাড়ির ধোঁয়া। ঢাকা দূষণের শহর হওয়ার কারণে এখানে ধুলা ও ধোঁয়ার আধিক্য, তাই কুয়াশাও ঘন হয়।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন