২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাউফলের সেই আলোচিত ক্লিনিকে এবার ভুল চিকিৎসার শিকার প্রসূতি নারী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:২৬ অপরাহ্ণ, ১৬ অক্টোবর ২০২১

বাউফলের সেই আলোচিত ক্লিনিকে এবার ভুল চিকিৎসার শিকার প্রসূতি নারী

মোঃ জসীম উদ্দিন,বাউফল >> পটুয়াখালীর বাউফলের সেই আলোচিত সেবা ক্লিনিকে এবার ভুল চিকিৎসার শিকার হলেন ফারজানা বেগম (২০) নামের এক প্রসূতি নারী।
শির দাড়ায় অ্যানেশথেশিয়া পুশ না করে মাংসে প্রয়োগ করায় ফারজানা বেগম এখন মৃত্যু পথযাত্রী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসাসেবা না পেলে ফারজানাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু ফারজানার দরিদ্র পরিবারের উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সামর্থ নেই। তাই ঢাকায় না গিয়ে ফারাজানা এখন বাসায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রসব বেদনা নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাউফল হাসপাতালের সামনে সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হন উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের চুন্নু সিকদারের স্ত্রী ফারজানা বেগম। ওইদিন দুপুরে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে ফারাজানা একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এরআগে অপারেশন থিয়েটারে অ্যানেশথেশিয়া চিকিৎসক আবু সাইদ শির দাড়ায় ওই ইনজেকশন পুশ না করে ভুলবসত ফারজানার মাংসপেশিতে প্রয়োগ করেন। চার দিন পরে অবস্থার অবনতি হলে জোরপূর্বক ফারাজানাকে ক্লিনিক থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। উপায় না পেয়ে ফারজানার স্বামী তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ফারাজানার করুন অবস্থার কথা তার স্বামী চুন্নু সিকদারকে জানান। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফারজানাকে ঢাকা নিউরোসাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

ফারজানার চাচা শিপন হোসেন মৃধা বলেন, আমার ভাতিজির অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শরীরের কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত অবশ হয়ে আছে। তাকে দ্রুত ঢাকায় নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু অর্থের অভাবে ঢাকায় নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ফারজানার স্বামী চুন্নু সিকদার বলেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ফারজানার চিকিৎসার সকল ব্যায়ভার গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু দেই দিচ্ছি বলে সময় কালক্ষেপণ করছে।

এরআগেও সেবা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা প্রসুতি রোগীদের জোরপূর্বক ওই ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চলছে সেবা ক্লিনিকের রমরমা ব্যবসা।

সেবা ক্লিনিকের কর্নধর নার্গিস আরা স্বপ্না বলেন, আমি ঢাকায় আছি এ বিষয় কিছু বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য চিকিৎসক আবু সাইদের বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তাছাড়া নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য প্রয়োজন বলে তার ফোনে এসএমএস দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার প্রশান্ত কুমার শাহা বলেন, আমার জানামতে ওই রোগীর সিজিরিয়ানিং কোন সমস্যা হয়নি। এটা এক ধরনের রোগ।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন