২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাউফলে আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি

Saidul Islam

প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাউফলে আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি

বাউফল  প্রতিনিধি >> পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রী’র নামে সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় সন্তানদের সাথে নিয়ে স্ত্রী তার স্বামীকে মারধর করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে মামলা করলে আসামীরা আদালত থেকে জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মামলার বাদী মফিজ ফকির নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের মৃত করম আলী ফকিরের ছেলে মফিজ ফকির ওরফে চারু ফকির এর প্রথম স্ত্রী রিজিয়া বেগম মারা যাওয়ার পরে গলাচিপা উপজেলার বড়বাইসদিয়া ইউনিয়নের গঙ্গারচর গ্রামে জয়নাল আবেদিনের মেয়ে রেবেকা বেগমের সাথে প্রায় ২৫ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুখে শান্তিতে তাদের সংসার চলে। রেবেকার ঘরে জাহিদুল,মিরাজ ও রাইসুল নামের তিনটি ছেলে সন্তান জন্য নেয়। জাহিদুল ঢাকাতে গার্মেন্টসে চাকরি করে আর মিরাজ ঢাকাতে নানান ধরনের অপকমের সাথে জর্ড়িত ও রাইসুল স্থানীয় একটি হাফেজি মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। গত ১৪ মার্চ রাতের খাবার শেষে প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রীকে নিয়ে মফিজ ফকির ঘুমিয়ে পড়ে। ওই রাতেই স্ত্রী ও সন্তান জাহিদুল ও মিরাজ কে সাথে নিয়ে প্রথম ঘরের সন্ত্রানদের নামে জমা জমি না দিয়ে তাদের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মফিজ ফকির রাজি না হওয়ায় তাকে বেদরক মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মফিজ ফকির জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সারা রাতে জ্ঞান না ফেরায় সকালে স্থানিয়দের সহায়তায় বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পাষান্ড স্ত্রী স্বামী মফিজ ফকিরকে হাসপাতালে রেখে কাউকে কিছু না বলে ঘরের মূল্যবান মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মফিজ ফকির সুস্থ হয়ে বাউফল থানায় ও আদালতে পৃথক পৃথক দুটি মামলা করেন। এদিকে আদালত থেকে মামলায় জামিন নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। অন্যথায় রাতে এসে মেরে ফালারও হুমকি দেয়া হয় বলে মফিজ ফকির জানিয়েছেন।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন