১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাউফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ফের হামলা, ব্যবসায়ীকে মারধর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০২ অপরাহ্ণ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে মো. আবদুল আজিজ সিকদার (৪৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও ফের তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাউফল পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড বাংলাবাজার এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

মেয়র পক্ষের আবদুল আজিজ অভিযোগ করেছেন, নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক বর্তমানে একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিনের (৩৭) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল শুক্রবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এসে গালাগাল করে। একপর্যায়ে জসিম তাঁকে চর-থাপ্পর মারে। আত্মরক্ষার্থে তিনি তাঁর দোকানে থাকা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে নিজেকে রক্ষা করেন। ওই সময় তাঁর দোকান ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

আবদুল আজিজ আরও বলেন, এর আগে গত শনিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে কেরোসিন ও সয়াবিনের দুই ব্যারেল তেলের ড্রাম কেটে মাটিতে ফেলে দেয় এবং ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সন্ত্রাসীদের হুমকির কারনে শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর দোকান বন্ধ ছিল। আজকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুললে ফের হামলা চালানো হয়।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন,আবদুল আজিজ তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত শনিবার রাতে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজের পক্ষ এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র পক্ষের নেতা-কর্মী ও বাউফল উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যার পরে মেয়র পক্ষের নেতাকর্মী ও ছাত্রলীগ একত্রিত হয়ে মিছিল বের করলে ওই মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ এবং মেয়ার জিয়াউল হক জুয়েল পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হন।
পরে সাংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ পক্ষ ওই ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক দফায় বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ও অন্তত ১০ টি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে উপজেলা সদরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

ওইসব ঘটনায় থানায় ও আদালতে এ পর্যন্ত তিনটি মামলা হয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন