২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বাউফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংযোগ সড়ক বেড়া দিয়ে আটকিয়ে চলাচলে বাঁধা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৭ অপরাহ্ণ, ২২ নভেম্বর ২০২১

বাউফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংযোগ সড়ক বেড়া দিয়ে আটকিয়ে চলাচলে বাঁধা

মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল >> পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নে রামলক্ষণ গ্রামে আবদুল বারী ওরফে বারেক মৃধার ৪০ বছরের পুরোনো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসার সড়ক বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ আবদুল লতিফ খান। তাছাড়া ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আবদুল বারী ওরফে বারেক মৃধাকে মারধর করা সহ ওই ব্যবসা প্রতিঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের রামলক্ষণ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এবিষয়ে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বারেক মৃধা সোমবার বাউফল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল বারী ওরফে বারেক মৃধা ২০০২ সালে উপজেলার রামলক্ষন মৌজার ১২৩ নং খতিয়ান সংলগ্ন কনকদিয়া মৌজার ১৬০২ নং খতিয়ান হইতে আংশিক ০.৪০ একর জমিতে নির্মিত স্বমিল ও রাইস মিল জমিসহ ক্রয় করেন। তখন থেকেই প্রধান সড়কের সাথে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (স্বমিল ও রাইস মিল) সংযোগ সড়ক বারেক মৃধার ভোগদখলে ছিলো। চলতি বছরের জুন মাসে স্থানীয় মৃত আলী আকবর খানের ছেলে আবদুল লতিফ খান ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে দাবি করেন তিনি ক্রয় সূত্রে ওই সংযোগ সড়কসহ মিলের ২০ শতাংশ জমি পাবে। ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সংযোগ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাঁধা দেয় এবং বারেক মৃধাকে বিভিন্নরকম হুমকি ধামকি সহ ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

কোন উপায় না পেয়ে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আবদুল বারী ওরফে বারেক মৃধা জমির সীমানা নির্ধারণ এবং ভুয়া কাগজ পত্র দ্বারা হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর চলতি মাসের ৩ তারিখ আবেদন করেন। এই আবেদনে পরে কাগজ পত্র যাচাই করার জন্য বিবাদী আবদুল লতিফ খানকে অভিযুক্ত ভূমির যাবতীয় কাগজ নিয়ে ২১ নভেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হইয়া সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে লতিফ খান, তার ছেলে সুমন ও তার শ্যালক ইসমাইল হোসেন ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (সমিল ও রাইস মিল) সংযোগ সড়ক বেড়া দিয়া আটকিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। চলাচলে বাঁধা সৃষ্টির ফলে বন্ধ রয়েছে ওই মিলের কার্যক্রম। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মহীন হয়ে পরেছে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ২০ জন শ্রমিক।

এ বিষয়ে আবদুল লতিফ খান বলেন, আমি ক্রয় সূত্রে ওই জমির মালিক। সমিল এবং রাইস মিলে যাওয়ার সংযোগ সড়ক আমার জমিনের ভিতরে। তাই আমি আটকিয়ে দিয়েছি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন