২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাউফলে ২ যুবলীগ নেতা খুন, ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৮ অপরাহ্ণ, ০৪ আগস্ট ২০২০

মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ক্ষমতসীন আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২ যুবলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। স্থানীয় কেশবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে সর্বমোট ৭৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিহত যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রোমানের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাউফল থানায় মামলাটি করেন। এতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় এর মধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

উল্লেখ্য স্থানীয় এমপি সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ সমর্থিত উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু এবং একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ইউপি সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলু সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বেধড়ক মারধর করে সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর ভাই ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা সুজন তালুকদার ও তার কর্মীরা। আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ওই দিনই রফিকুলের অনুসারীরা দুপুর দুইটার দিকে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বশির ও ইব্রাহিমকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে রোববার (২ আগস্ট) সন্ধায় সভাপতি সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুল কেশবপুর বাজারে গেলে যুবলীগ কর্মী রাকিব উদ্দিন রোমান ও ইশাত তালুকদাদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর আপন ভাই ইউপি যুবলীগের সহ-সভাপতি রাকিব উদ্দিন রোমান ও তার চাচাতো ভাই ইউপি যুবলীগ নেতা ইসাত তালুকদার গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় ইশাত মারা যায় ও রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসারত অবস্থায় কিছুক্ষণ পড়েই তারও মৃত্যু হয়।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) মো. আল মামুন বরিশালটাইমসকে জানান, এ হত্যা ঘটনায় কেশবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১৬ জন অজ্ঞাত মামলা করেন। মামলা নম্বর ৫। এ ঘটনার সাথে জড়িত ১১ জনকে আাটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে, জানান ওসি।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন