২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাতাস দিয়ে গ্যাসের দাম নিচ্ছে ফিলিং স্টেশনগুলো

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০২ অপরাহ্ণ, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: অকটেন-ডিজেল-পেট্রোলের খরচ কমাতে গাড়ির মালিকরা পয়সা খরচ করে ঝুঁকছেন সিএনজির দিকে। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকরা। তারা কৌশলে গ্যাসের বদলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে বাতাসও। গ্রাহকেরা গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করেও তাদের কারসাজিতে টাকা দিয়ে কিনছে বাতাস।

৬০ লিটার সিলিন্ডারে ১৫ সিসি, ৯০ লিটার সিলিন্ডারে ২১ সিসি এবং ১০০ লিটার সিলিন্ডারে সর্বোচ্চ ২৫ সিসি গ্যাস ঢোকানো যায়। ফিলিং স্টেশনগুলোতে প্রতি সিসি গ্যাস নেওয়া হয় ৪৩ টাকা করে। জানা যায়, গ্যাসের চাপ ২০০ থেকে ২৫০ মধ্যে থাকা ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস রিডিং সঠিক পাওয়া যায়। তবে গ্যাসের চাপ যদি ১৮০-এর নিচে নামে তাহলে গ্যাসের প্রেসার কম থাকে। চাপ কমের কারণে গ্যাসের সঙ্গে বাতাসও বেশি হারে ঢুকে যায়।। প্রতিটি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত প্রকৌশলী ঠিক সেখানেই কৌশলে আশ্রয় নেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্যাসের সঙ্গে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাতাস ভরে দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হয় পুরো গ্যাসের বিল।

গ্যাস কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার দাবি, গ্যাসের চাপ ঠিকই থাকে, ঝামেলা মূলত ফিলিং স্টেশনের মেশিনেই। তাদের সবসময়ের অজুহাত গ্যাসের চাপ কম। অনেক সময় একটি মেশিন বন্ধ রাখার কারণে গ্যাসের চাপ এতোই কমে দাঁড়ায় যে, ৫০০ টাকায় গ্যাস মেলে ৩০০ টাকার। বাকি ২০০ টাকাই বাতাস।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, ফিলিং স্টেশনের মেশিনগুলো সাধারণত থাকে দৃষ্টির বাইরে- পিছনে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে গিয়ে মানুষ এমনিতেই বিরক্ত থাকে। এ কারণে গ্যাসের বদলে বাতাস ঢুকছে কি ঢুকছে না- সব জেনেও এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। এই নিরবতাকে পুঁজি করে ফিলিং স্টেশনগুলো প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন