২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বাড়িওয়ালার শ্যালিকার সঙ্গে প্রেম, বাসা ছাড়তে বলায় মাথায় পিস্তল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৫ অপরাহ্ণ, ২৯ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ভাড়াটিয়ার বাসায় বহিরাগতদের সন্দেহজনক আসা-যাওয়ার কারণে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন সিদ্ধিরগঞ্জের এক বাড়ির মালিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িওয়ালার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে ভাড়াটিয়ার সহযোগীরা। এ সময় বাড়িওয়ালার স্ত্রী, শ্যালিকা ও শ্বশুর এগিয়ে আসলে তাদেরকে মারধর করে গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে ভাড়াটিয়া ও তার সহযোগীরা।
২৬ মে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোদনাইল ধনকুন্ডা মধুগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ২৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বাড়ির মালিক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা।
অভিযোগে মোফাজ্জল হোসেন উল্লেখ করেন, তার ভাড়াটিয়ার বাসায় লকডাউনের পর থেকে অপরিচিত পুরুষ লোকের আনাগোনা বেড়ে যায়। তারা গভীর রাত পর্যন্ত বাসায় অবস্থান করে এবং মাঝেমধ্যে পরের দিন সকালে বের হয়ে যান। একই সঙ্গে তার বাসার মেয়েদের ছবি তোলার চেষ্টা করেন ওসব লোকজন।

বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হলে তাদেরকে বাসায় আসতে নিষেধ করেন এবং ওই ভাড়াটিয়াকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ মে মাগরিবের নামাজের পর শাহআলম নামে ওই ভাড়াটিয়া তার সহযোগী মেহেদী, রাতিম, রনি, রাসেল, কাজল, ওয়াসীম, হৃদয়, জুলেখা, আখিসহ ২০-২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িওয়ালার ঘরে গিয়ে চিৎকার শুরু করেন।
বাড়িওয়ালা ঘর থেকে বাইরে আসলে তার মাথায় কাজল, ওয়াসীম ও হৃদয় পিস্তল ঠেকায়। তার পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে আসলে তাদের মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে বাড়িওয়ালা ঘরে এসে থানায় ফোন করে পুলিশকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা ২৭ মে রাতে থানায় অভিযোগ দেন। তবে অস্ত্রের কথা উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে জানিয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা।
তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা অস্ত্রের কথা উল্লেখ না করে অভিযোগ দিতে বলেন। প্রায় এক ঘণ্টা থানায় বসে থেকে পরে কম্পিউটারের দোকান থেকে টাইপ করে লিখিত অভিযোগটি থানায় দেয়া হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল বলেন, বাড়িওয়ালার শ্যালিকার সঙ্গে ভাড়াটিয়ার এক আত্মীয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে বাড়িওয়ালার শ্যালিকার অন্যত্র বিয়ে হয়। শ্যালিকা বেড়াতে আসলে ভাড়াটিয়ার ওই আত্মীয় বাড়িওয়ালার শ্যালিকার ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং হাতাহাতি হয়। মূলত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এসব ঘটনা ঘটেছে।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন