নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান যে বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী তার প্রমাণ অতীতে একাধিকবার দিয়েছেন বিভিন্ন ইতিবাচক সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে। কিন্তু তিনি কর্মক্ষেত্রের বাইরে নানান বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এবং ভাবেন-বোঝেন তা অনেকেরই ছিল অজানা। এবারে একদম ব্যতিক্রমী রুপে আর্বিভুত হলেন বিএমপি পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা। পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজে তিনি নিজেই দাঁড়িয়ে গেলেন ইমামের স্থানে এবং নামাজ পড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনারের এই দক্ষতার প্রসংশা শুধু তার সহকর্মীরা করছে না, গোটা নগরবাসীকে যেন চমক দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদানের পরে মাঠপুলিশকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলস্বরুপ প্রসংশা কুড়িয়েছেন। চলমান করোনাভাইরাস মহামারি রোধে এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তার ঝুলিয়ে নিয়ে ‘মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা’র উপাধীও। তার দক্ষতা নিয়ে তার নিজ বাহিনীসহ প্রশাসন কিংবা রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানান আলোচনা শোনা যায়। সেই আলোচনাকে আরও প্রসারিত করেছে নিজের বাসায় ঈদের নামাজে ইমামতি প্রসঙ্গকে ঘিরে।

একটি সূত্রে জানা গেছে- পুলিশ কমিশনারের ওই নামাজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন বাসভবনে কর্মরত পুলিশসহ আরও অনেকে। ইমামতি শেষে মোনাজাতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্তে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মৃত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। সেই সাথে আক্রান্ত সদস্যদের দ্রুত আরোগ্য লাভে আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা রাখেন। পুলিশ কমিশনারের এই জামাত আদায় ও দোয়া মোনাজাতের পুরো বিষয়টি সেখানে অংশ নেওয়া সকলের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত।

জামাতে অংশ নেওয়া এক পুলিশ সদস্য বরিশালটাইমসকে জানান, পুলিশ কর্মকর্তার পেছনে দাড়িয়ে নামাজে অংশ নিলেও সূরা পাঠ ও উচ্চারণ ভঙ্গি তাদের ভুলিয়ে দিয়েছিল ইমাম একজন পুলিশ। এবং তাও শীর্ষ সারির কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে অনেকের মন্তব্য হচ্ছে- চাকরি জবীনে অনেক স্থানে অনেক কর্মকর্তার সাথে কাজ করেছেন, কিন্তু শাহাবুদ্দিন খান যেন পুরোটাই ব্যতিক্রম এবং চৌকশ কর্মকর্তা তার প্রমাণ আরও একবার দিলেন।

এদিকে পুলিশ কমিশনারের নামাজ পড়ানোর এই ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ইতিবাচক পোস্ট ও কমেন্ট পাওয়া গেছে। বলা চলে এবারের এই নতুন চমক শাহাবুদ্দিন খানকে প্রসংশায় ভাসিয়ে দিয়েছে, দিচ্ছে।