২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বিশ্ব ইজতেমা ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৬ অপরাহ্ণ, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

তাবলীগ জামাতের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে এই ইজতেমা।

বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, দুই পক্ষ একসঙ্গে একই জায়গায় এবারের ইজতেমা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

এর আগে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার একটাই হবে। তবে এবারের ইজতেমায় ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্দালভি অংশ নিচ্ছেন না।

বিরোধ মীমাংসায় সমন্বয়কারীর ভূমিকায় থাকা কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাজহারুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা মিটমাট হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, তাবলীগ জামাতের ভেতরে মাওলানা সাদ কান্দালভিকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের দ্বন্দ্ব চরম আকর ধারণ করে। এই দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষেরও ঘটনা ঘটে। এরপর ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলীগ জামাতের দু’পক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে।

১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন সাদপন্থীরা। এর বিরোধিতা করে ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন হেফাজতপন্থী মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।

এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।

সাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কিছু কাল ধরেই তাবলীগ জামাতে সংস্কারের কথা বলছেন তিনি। সাদ বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রচারণা অর্থের বিনিময়ে করা জায়েজ নেই। যার মধ্যে মিলাদ বা ওয়াজ মাহফিলের মতো কর্মকাণ্ড পড়ে বলে মনে করা হয়।

সাদ আরো বলেন, মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকদের মাদ্রাসার ভেতরে নামাজ না পড়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়া উচিত। কিন্তু তার বিরোধীরা বলছেন, সাদ যা বলছেন- তা তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের নির্দেশিত পন্থার বিরোধী। তাদের বক্তব্য, সাদের কথাবার্তা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশ্বাস ও আকিদার বাইরে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন