২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বিসিসি কাউন্সিলর রূপার বিরুদ্ধে ফের ষড়যন্ত্র!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৭ পূর্বাহ্ণ, ১১ মে ২০১৭

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে ফাঁসাতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে। একটি মোবাইল রেকর্ডিং সামনে রেখে এখন তাকে পুলিশি হয়রানি করতে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের এই মিশন বাস্তবায়ন করতে মান্না পাহাড়ি নামে জনৈক এক ব্যক্তিকে ব্যবহার হচ্ছে। হয়রানির প্রাথমিক পর্যায়ে এই মান্না পাহাড়িকে দিয়ে নারী কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপার বিরুদ্ধে গভীর রাতে সংশি¬ষ্ট থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

সেই সাথে মিডিয়াপাড়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মোবাইল রেকর্ডিং। যেই বিষয়টি বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। তবে অভিযোগকারী মান্না পাহাড়ির বিরুদ্ধেও রয়েছে কাউন্সিলর রূপার অভিযোগ। কিন্তু সেই অভিযোগ পুলিশ নেয়নি। বরং এই নারী কাউন্সিলরের বিগত দিনের কর্মকান্ড নিয়ে খিস্তিখেউরে মেতে উঠেছে। এই অভিযোগ বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি) আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকালে কাউন্সিলর রূপা লিখিত অভিযোগ থানায় পাঠালে এই কর্মকর্তা তা গ্রহণ না করে সকলের মধ্যে চেচামেচি করে বলেছেন রূপাকে হাজির হতে হবে। এমনকি ওই সময়ে তিনি রূপাকে তিরস্কার করে বলেছেন ‘‘এই নারী এক কাউন্সিলরের দুই কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন’’। সঙ্গত কারণে তাকে নিয়ে বিশেষ ওই মহলটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র মেতেছে বলে আভাস দিয়েছেন কাউন্সিলর রূপা। তবে খুব শিগগিরই আইনিভাবে মোকাবিলা করে এই ষড়যন্ত্রের জাল থেকে তিনি বেড়িয়ে আসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সাপুড়ে মান্না পাহাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ না নেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এমতাবস্থায় এই কাউন্সিলর তারাতারি আদালতের শরনাপন্ন হবেন বলে প্রথম সকালকে নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি বিগত সময়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিতে না পেরে এখন আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। যে কারণে মান্না পাহাড়ি নামে ওই ব্যক্তিকে পেছনে লাগিয়ে একটি ক্ষেত্রফল তৈরি করতে চাইছে। অবশ্য মান্না পাহাড়িও ওই বিশেষ মহলটির দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। কিন্তু ওই অভিযোগ অস্বীকার করে সাপুড়ে বলছেন, কাউন্সিলর রূপা তাকে মোবাইল ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।

যে কারণে তিনি বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে মান্না পাহাড়ির এইসব অভিযোগ সমূলে ভিত্তিহীন দাবি করে কাউন্সিলর রূপা বলছেন, গত ২ মে মান্না পাহাড়ি তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসার জন্য ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা চেয়ে রূপাকে প্রায়শই শহরের বিভিন্ন স্থানে বিরক্ত করতেন। তবে এরপরেও এই মান্না পাহাড়ি তার অবস্থান থেকে না সরে কাউন্সিলরকে প্রতিনিয়ত চাঁদা চেয়ে বিরক্ত করছিলেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তার এক ঘনিষ্টজনকে মিডিয়ার পরিচয় দিয়ে ফোনও করেয়েছিলেন।

যে কারনেই ক্ষেপে গিয়ে মঙ্গলবার মান্না পাহাড়িকে দু-চার কথা শুনিয়েছেন কাউন্সিলর রূপা। যদিও ওই সময় তিনি আচ করতে পারছিলেন না যে মান্না পাহাড়ি কারও শত্রুতা উদ্ধারে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছেন। যে কারণে সাপুড়ে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে রূপার সরল মনে বলা কথাগুলো মোবাইলে ধারণ করার সুযোগ নিয়েছে। এমনকি অভিযোগ সাথে সাথে চলে গেছে পুলিশের টেবিলে। অথচ এই মান্না পাহাড়ির বিরুদ্ধে কাউন্সিলরের চাঁদাবাজির অভিযোগটি পুলিশ না নিয়ে সৃষ্টি করেছে প্রশ্ন। কাউন্সিলর রূপার ভাষ্যমতে, বিগত সময়ে ওই মহল ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে এখন নতুনভাবে কৌশল নিয়েছে।

যে কারণে মান্না পাহাড়িকে দিয়ে তাকে হয়রানি করে আটকানোর সুযোগ খুঁজছে। এই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আইনি সহযোগিতা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোতয়ালি মডেল থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান সহযোগিতা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে অভিযোগ ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সেই সাথে তাকে নিয়ে ‘খিস্তিখেউ’র করেন বলে অভিযোগ করেন রূপা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসি আসাদুজ্জাদ বলছেন কাউন্সিলরের কোন অভিযোগ থানায় জমা হয়নি। তবে কেউ নিয়ে আসছিলেন কীনা তার জানা নেই।”

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন