২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বি‌য়ে বা‌ড়ি‌তে প্রেমিকা উপ‌স্থিত: পা‌লি‌য়ে‌ গেলেন বর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০০ অপরাহ্ণ, ২০ মে ২০২২

বি‌য়ে বা‌ড়ি‌তে প্রেমিকা উপ‌স্থিত: পা‌লি‌য়ে‌ গেলেন বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল:: ব‌রিশা‌লে বিয়ে বাড়িতে প্রেমিকার উপস্থিতির খবর পেয়ে পালিয়েছে বর। আর প্রেমিকার কান্ড দে‌খে অভিযোগ শুনে কনের পরিবারই বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করে দিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বরিশাল শহরতলীর চরআবদানি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগে তাদের গ্রামের ১৮ বছরের এক মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় পার্শ্ববর্তী মহাবাজ এলাকার ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দিপু মল্লিকের ছেলে মৃদুলের সাথে। যথা নিয়মে আজ কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জুমার নামাজের পর বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া শেষে কনেকে বরের হাতে তুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয় পরিবার। কিন্তু জুমার নামাজের আগে বর মৃদুলের বাড়ির পাশের এক মেয়ে তার বোন ও মাকে নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন। এসময় ওই মেয়ে নিজেকে বর মৃদুলের প্রেমিকা বলে দাবি করে, কনেকে শারীরিকভাবে লাঞ্চনা করার পাশাপাশি হট্টোগোল বাধিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা এসে ওই মেয়ের অভিযোগ শুনে এবং কনের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কার্যক্রম বাতিল করে দেয়।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, জুমার নামাজের আগ মুহূর্তের ঘটনা। বর-কনে পক্ষের প্রায় সকল অতিথিরা এসে গেছে বিয়ে বাড়িতে। কেউ জুমআর নামাজের জন্য মসজিদে গেছে, কেউ বাহিরে ঘোরাঘুরি করছে। নামাজ আদায় শেষে বিয়ের আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রেমিকা দাবি করা ওই মেয়ে বর মৃদুলের স্বজনদের সামনেই দীর্ঘ সাত থেকে সাড়ে ৭ বছরের প্রেমের নানান ঘটনা প্রমানসহ বলতে থাকেন। এসব শুনে ও দেখে উপস্থিত সকলের চোখ কপালে।

এদিকে কনে বাড়িতে প্রেমিকার আসার পর থেকে মৃদুলের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি, এককথায় মৃদুল পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কনের বাবা জাহাঙ্গীরের সাথে আলোচনা করে বিয়ের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

কনের বাবা জাহাঙ্গীর ব‌লেন- তার মেয়েকে মৃদুলের সাথে বিয়ে না দেয়ার কথা বর পক্ষকে জানিয়ে দেয়া হ‌য়ে‌ছে। পরে বরপক্ষের লোকজনসহ কিছু অতিথি না খেয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যদিও দরিদ্র কনের বাবা এক-দেড়শত মেহমানের খাবারের আয়োজন করেছিলো।

চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল খান বলেন, এমন ছেলের সাথে বিয়ে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কনের বাবা। সাথে সাথে বিয়ের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। যদিও কনের কোন দোষ ছিলো না, বর ও তার পরিবার পেছনের এসব বিষয়গুলো গোপন রেখে বিয়ের আয়োজন এগিয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে সুবিচার পেতে মৃদুলের প্রেমিকাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয়রা। তখন ওই মেয়ে ও তার পরিবার থানায় মামলা করবেন।’

21 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন