২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বুয়েটকে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে আরও ৩ সপ্তাহ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:১০ অপরাহ্ণ, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর গত দেড় মাস ধরে কার্যত অচল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সর্বশেষ তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি বাস্তবায়নে এবার সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে বুয়েট প্রশাসন। ফলে স্বাভাবিক বুয়েট ক্যাম্পাস দেখতে এই তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের এক বৈঠকে এই সময় চেয়েছে বুয়েট প্রশাসন। শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।

২৫ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। এর পরদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে নাম আসা ছাত্রদের বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি মানা হলেই কেবল তাঁরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবেন। শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি হলো বুয়েটের আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে এর আগে ঘটে যাওয়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি; এবং সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি ও র‍্যাগিংয়ের জন্য সুস্পষ্টভাবে শাস্তির নীতিমালা প্রণয়ন করে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন করে বুয়েটের অধ্যাদেশে সংযোজন।

শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রথম দুটি দাবি পূরণ হলে তাঁরা আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ মেনে নেবেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত সাত দিন আগে তৃতীয় দাবিটি পূরণ হলে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

আজ দুপুরের বৈঠকে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মানতে বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম সময় চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শীর্ষ সংশপ্তক বলেন, ‘বৈঠকে দাবি মানতে উপাচার্য প্রথমে তিন সপ্তাহ সময় চান। পরে সেখানে উপস্থিত ডিনেরা বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আমরা প্রশাসনের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ হলে আমরা আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা দেব।’

বৈঠকে বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম ছাড়াও ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকেরা অংশ নেন।

মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ সময় নিয়েছি। আশা করছি, এর মধ্যেই একটা সমাধান হবে।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র মাহমুদুর রহমান সায়েম প্রথম আলোকে বলেন, ‌‌তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরব না।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন