২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ফসলের পোকা দমনে জনপ্রিয় ‘পার্চিং’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:২৩ অপরাহ্ণ, ১১ অক্টোবর ২০২০

হৃদয় হোসেন মুন্না, বেতাগী:: উপকূলীয় জেলা বরগুনার বেতাগী উপজেলায় রোপা আমন ধানের জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা দমনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ পদ্ধতিতে ধানের জমিতে গেঁথে রাখা হয় গাছের ডাল অথবা বাঁশের কঞ্চি। এতে বসে পোকামাকড় সন্ধানকারী ফিঙ্গে, শালিক, ময়না, পেঁচাসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি। যখনই চোখে পড়ে কোন পোকামাকড় তখনই ছু মেরে ধরে খাচ্ছে সমস্ত পাখি।

এছাড়া রাতে পেঁচা নামক এক ধরনের পাখি ইদুর খেয়ে ইদুরের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে করে ফসলি জমি যেমন পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে, ঠিক তেমনি পাখির বিষ্ঠায় জমি উর্বর হচ্ছে। ফলে ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন পড়েনা বিধায় কৃষকের বাড়তি খরচ লাঘবের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আমন ধান ক্ষেতে এ ধরনের পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বেতাগী উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবার ১০ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০% অর্থাৎ ৪ হাজার ২৬৮ হেক্টর জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিটি ধানক্ষেতে ১৫ থেকে ১৮ হাত দূরে দূরে লম্বা গাছের কিংবা বাঁশের কঞ্চি গেঁথে রাখা হচ্ছে।
পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারকারী কৃষক নজরুল আকন জানান, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ধানের জমিতে কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না, আর আবাদে খরচও কমে।

উপজেলার কৃষি অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, কীটনাশক ছাড়াই পোকামাকড় দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে এলাকার পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ কৃষকরা সাশ্রয়ে আবাদ করতে পারবে। পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদেও উদ্বুদ্ধ করতে প্রায়শই পরামর্শ সহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন