২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

বেপরোয়া পটুয়াখালির এমপি মুহিবের সন্ত্রাসী বাহিনী, ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৭ অপরাহ্ণ, ০৯ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক পটুয়াখালি:: পটুয়াখালি-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী আশিক বাহিনীর তান্ডব থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম মিরাজ।

রবিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ সাংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ বলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) সরকার দলীয় এমপি মুহিবুর রহমান মুহিবের পক্ষালম্বন না করায় তার লালিত-পালিত আশিক বাহিনীর সন্ত্রাসীরা গত ৬ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘এমপি সাহেব ডেকেছে বলে’ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিরাজকে তার বাসা থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। পথিমধ্যে ধানখালী তাপবিদ্যুৎ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা জাকির হোসেন তাদেরকে দেখে ফেললে চিৎকার করে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে মিরাজ বলে, ‘স্যার ওরা আমাকে জোড় করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে প্রানে মেরে ফেলবে আমাকে বাঁচান’। এ সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে আশিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মুছা বলে আমরা বন্ধু-বান্ধবরা এমপি সাহেবের সাথে দেখা করতে রওয়ানা হয়েছি। মিরাজ আপনার সাথে ইয়ার্কি করছে। তখন পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলে, ‘মুছা মিরাজের যেন কোন সমস্যা না হয়’।

লিখিত বক্তব্যে মিরাজ আরও বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হুঁশিয়ারি করার পরও এমপি নিয়োজিত সন্ত্রাসী আশিক বাহিনী মিরাজকে নদীর তীরে নির্জন স্থানে নিয়ে হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে আশিক ধারাল দা দিয়ে মিরাজকে হত্যা করার চেষ্টা করলে মুছা বাধা দেয়। পরে আশিক হকিস্টিক দিয়ে মিরাজের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। এরপর মিরাজকে সন্ত্রাসীরা আশিকের বাসার পিছনে কথিত টর্চার সেলে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ পাঠিয়ে মিরাজকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং কোন ধরনের জিডি না করে স্বাক্ষর রেখে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এরআগে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য আশিক তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজে মিরাজকে নিয়ে একটি ছবি তুলে পোষ্ট দেয় যে, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে চায়ের আড্ডায় আছি’।

তবে মিরাজের আনিত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আশিক বলেন, ‘মূলত মুছা ও মিরাজের সাথে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব সেখানে অহেতুক আমাকে জড়ানো হয়েছে। আমি বরং ঘটনা শুনে থানায় গিয়েছিলাম। পরে পৌর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী মাছুম ব্যপারী ও আমি মিলে আপোষ মিমাংষা করে দিয়েছি। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। আমি কিছুই জানিনা। আমার কোন বাহিনী নাই’।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমানের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন