২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর জন্য সফটওয়্যার কেন, কিভাবে, কোথায় পাবেন?

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫৬ অপরাহ্ণ, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক, ফার্মেসি, পে-রোল, পয়েন্ট অফ সেলস (পস), স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিনেপ্লেক্স ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার।

সফটওয়্যার কি এবং কেন? 

সফটওয়্যার হল কিছু প্রোগ্রামের সমষ্টি যা কম্পিউটার বা কোনো ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রকে নির্দেশ করে কি করতে হবে আর কিভাবে করতে হবে । এক বা একাধিক লোক কোনও একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বা কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য একে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। সফটওয়্যার ব্যবহারের বড় একটি উদ্দেশ্য হলো লোকবলকে যথযথভাবে কাজে লাগিয়ে নির্ভূল এবং নিখুঁত তথ্য সর্ব্বোচ তড়িৎ গতিতে পাওয়া।  সাথে আছে ডেটা সংরক্ষণের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (কাস্টমাইজড সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে)।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়  কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সারাবছরের হিসাব-নিকাশের যে খতিয়ান তা কয়েক মিনিটেই দিতে পারে এই সফটওয়্যার যা হাতে-কলমে করতে অনেক সময় লাগবে। প্রাত্যহিক কাজে যে যন্ত্রটি আপনি ব্যবহার করছেন তা হলো মোবাইল আর এই মোবাইলটিও কিন্তু সফটওয়্যারের মাধ্যমেই নিখুঁতভাবে চলছে। এককথায় বলা যায় আপনি সফটওয়্যার ছাড়া এই বর্তমানের আধুনিক জীবনে প্রায় অচল হয়ে পড়ছেন। তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, কেমন করে আমাদের প্রতিদিনকার জীবনযাপনে সফটওয়্যার তার বেড়াজাল দিয়ে আমাদের ঘিরে রেখেছে।

কোথায় পাবেন এই সফটওয়্যারঃ

জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই এখন। মাত্র কয়েক দশক আগে যা কল্পনাও করা যেতো না তা এখন আপনার আমার হাতের একেবারে দোরগোড়ায়। খোঁজ নিয়ে দেখবেন আপনার খুব পাশেই গড়ে উঠেছে কোন না কোন সফটওয়্যার কোম্পানি।

আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যারের আওতায় আনতে চান আপনাকে এই সম্পর্কে ভালো ধারণা সংগ্রহ করতে হবে। কি নিচ্ছেন , কার কাছ থেকে নিচ্ছেন, তাদের সফটওয়্যার বিক্রির পর সাপোর্ট কেমন সবকিছু  যথাযথভাবে জেনে সফটওয়্যার নিন। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় বড় বড় অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি সাপোর্ট দিতে অনেক দেরি করে যা আপনাকে বেশ ভূগাতে পারে। সেজন্য “After Sales Support” টি ভালোমত বুঝে নেবেন।

এখন ঢাকায় অনেক সফটওয়্যার কোম্পানি গড়ে উঠেছে যা আপনাকে আপনার চাহিদা মোতাবেক সফটওয়্যার তৈরি করে দিতে সক্ষম।

খোজ নিয়ে দেখা গেছে বরিশালও এখন পিছিয়ে নেই। বরিশালেও গড়ে উঠতে শুরু করেছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে NEXTZEN , E-Network Limited নামের কয়েকটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ৩০-৫০ টিরও বেশি ডিজিটাল সার্ভিস প্রদান করবে বরিশালে। এ প্রতিষ্ঠানের কয়েক জন সেবাগ্রহিতার কাছ থেকে জানা গেছে খুবই কম খরচে তারা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারছে যা পূর্বে তাদের কাছে কঠিন মনে হলেও এই প্রতিষ্ঠান খুব সহজে ডিজিটালাইজেশন করতে সহযোগীতা করছে।

এ প্রতিষ্ঠানের বরিশাল বিজনেস প্রধান  ইমরান খান জুম্মান জানান “তিনি বরিশালেরই সন্তান, হঠাৎ করেই এরকম একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচয় হয় সেখান থেকেই কাজ করা শুরু তাদের সাথে বর্তমানে বরিশালে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছে তিনি মনে করেন বর্তমান সরকার ও  বরিশাল এর বর্তমান সরকার সংস্লিষ্ঠ নেতৃবৃন্দরা যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার পাশাপশি এমন নতুন নতুন কিছু উদ্যোগ ও সার্ভিস অটোমেশনে আরও এগিয়ে যাবে উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন কার্যক্রম।”

আপনি যদি কর্মচারী-দের অফিসে আসা-যাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে চান তাহলে পে রোল, যদি হিসাব বিভাগ-টি ঠিকমত চালাতে চান তাহলে অ্যাকাউন্টস সফটওয়্যার, যদি হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক হয় তাহলে সেই ক্যাটাগরির সফটওয়্যার, যদি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় হয় তাহলে সেই ক্যাটাগরির সফটওয়্যার আপনাকে নিতে হবে। এছাড়াও অ্যাপ এর মাধ্যমেই ব্যবহার করতে পারবেন সব।

প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে সফটওয়্যারঃ

বলা হয়ে থাকে একটি  প্রতিষ্ঠানের প্রাণ হলো তার হিসাব বিভাগ। এই বিভাগ যদি ঠিক না থাকে তাহলে কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থের সুষ্ঠূ বণ্টন সম্ভব নয় । যার ফলে প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশী পরিমাণে প্রযোজ্য। কারণ একটি বড় প্রতিষ্ঠানের দেখভালের জন্য সার্বক্ষনিক মালিক বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিগণ থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ সুচারুভাবে করার জন্য প্রয়োজন সফটওয়্যার। ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও বলা যায় একই সমস্যা পরিগণিত হয়। মালিক বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিগণের অনুপস্থিতে অর্থ কারচুপির মত হরহামেশাই ঘটে থাকে। এই সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো যাতে না ঘটতে পারে সেজন্যই সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা হয়। আর সফটওয়্যার ব্যবহারে লোকবল, সময় কমিয়ে খুব দ্রুত নিখুঁত ফলাফল আপনি পাবেন যা আপনার প্রতিষ্ঠানের  বর্তমান অবস্থা তাক্ষনিক জানিয়ে দিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারনে মূল ভূমিকা পালন করবে।

সফটওয়্যার নেয়ার ক্ষেত্রে সর্তকতাঃ

সফটওয়্যার নেয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে জেনেবুঝে নেবেন। না হলে পরে সমস্যায় পরতে পারেন, কারণ বেশীরভাগ সফটওয়্যার কোম্পানি দেখা যায় কয়েকদিন ব্যবসা করেই ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করুন।

  • – পূর্বেই ডেমো দেখে নিতে পারেন
  • – তাদের কিছু কার্যক্রম  দেখে নিন
  • – কাছাকাছি থাকা কোম্পানি থেকে সফটওয়্যার  নেয়াটাই ভাল (মাঝারি প্রতিষ্ঠানের জন্য) কারণ এদের সাপোর্ট ভালো হয়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে  তারা যেহেতু বড় বড় জায়গায় কাজ করে সেজন্য আপনার বা আমার মত ছোট প্রতিষ্ঠানকে সময় দেয়ার মত সময় এদের থাকে না কিন্তু কাছাকাছি থাকলে সেবা পাওয়া যায় দ্রুত।
  • – SLA (Service level Agreement) এর বিস্তারিত জেনে নিন।



কিছু সফটওয়্যার কোম্পানিঃ

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন