২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

বড়দিনের তাৎপর্য: যিশুখ্রিস্টের মাহাত্ম্য

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৪ পূর্বাহ্ণ, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

বড়দিনের তাৎপর্য: যিশুখ্রিস্টের মাহাত্ম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> খ্রিস্টমাস ট্রি আর সান্তা ক্লজ, এই নাম দুটো শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বড়দিনের কথা। বড়দিন- খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ সারা বিশ্বের খ্রিস্টধর্মীরা মহাসমারোহের সাথে পালন করে এই বড়দিন বা খ্রিস্টমাস। কিন্তু কিভাবে এলো এই খ্রিস্টমাসের উৎসব? খ্রিস্টমাসের ইতিহাসই বা কি?

বাংলাদেশ খ্রিষ্টন এসোসিয়েশনের বরিশালের সাধারণ সম্পাদক এলবার্ট রিপন বল্লভ বলেন, খ্রিষ্টধর্মে বড়দিন হল যিশুর জন্মোৎসব। খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আদি বাইবেলর ত্রাণকর্তা সংক্রান্ত একাধিক ভবিষ্যদ্বানীতে বলা হয়েছে, যে কুমারী মেরির গর্ভে তাদের ত্রাণকর্তার জন্ম হবে। নতুন নিয়ম বা নতুন বাইবেলের দুটি সুসমাচারে বর্ণিত যিশুর জন্মকাহিনীই বড়দিনের উৎসবের মূলভিত্তি। এই উপাখ্যান অনুসারেই বেথলেহেম শহরে উপস্থিত হয়ে কুমারী মাতা মেরি এক শিশুর জন্ম দেন। দিনটি ছিলো এই ২৫ ডিসেম্বর। আর সেই শিশু আর কেউ না, খ্রিস্টানদের ত্রাণকর্তা যিশু খ্রিস্ট। বাইবেলে উল্লেখ না থাকার পরও একটি আস্তাবলে গবাদি পশু পরিবৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছিলেন যিশু, এমনই কথা প্রচলিত অনেক জায়গায়।

অনেক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীই মনে করেন, যিশুর জন্মই আদি বাইবেলের ভবিষ্যদ্বানীকে পূর্ণতা দেয়। কয়েকজন জ্যোতিষী স্বর্ণ, গন্ধতৈল ও ধূপ নিয়ে শিশুটিকে দর্শন করতে যাবার সময় একটি রহস্যময় তারা তাঁদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় এমন কথাও প্রচলিত আছে। বেথেলহেম তারা নামেই প্রচলিত সেই তারা।

খ্রিষ্টানরা নানাভাবে বড়দিন উদযাপন করে থাকে। এগুলির মধ্যে বর্তমানে গির্জার উপাসনায় যোগ দেওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম জনপ্রিয় প্রথা বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন উপাসনা পদ্ধতি।

বড়দিন পালনের অন্যতম অংশ হল গৃহসজ্জা ও উপহার আদানপ্রদান। কোনো কোনো খ্রিষ্টীয় শাখা সম্প্রদায়ে ছোট ছেলেমেয়েদের দ্বারা খ্রিষ্টের জন্মসংক্রান্ত নাটক অভিনয় এবং ক্যারোল গাওয়ার প্রথা বিদ্যমান। আবার খ্রিষ্টানদের কেউ কেউ তাদের গৃহে পুতুল সাজিয়ে খ্রিষ্টের জন্মদৃশ্যের নেটিভিটি দৃশ্য বা ক্রিব প্রদর্শন করে থাকেন। সান্তা ক্লজের কাছ থেকে ছোটদের উপহার পাওয়াও একটি অলিখিত রীতি হয়ে উঠেছে।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন