২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ভরণপোষণ দেন না পুলিশ স্বামী: ২ সন্তানকে এসপি অফিসে ফেলে গেলেন স্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> ঝালকাঠিতে আয়ান ও আরাফ নামের ১৬ মাসের দুই যমজ ছেলে সন্তানকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে ফেলে গেলেন এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী। স্বামী ভরণপোষণ ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন না করায় রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিশু দুটিকে রেখে চলে যান মা সুমাইয়া আক্তার।

থানা পুলিশ ও শিশুদের মা কাছ থেকে জানা যায়, শিশু দুটির বাবা ইমরান হোসেন কাঁঠালিয়া থানায় পুলিশ কনস্টেবল। বর্তমানে তিনি এক মাসের প্রশিক্ষণের জন্য জামালপুরে অবস্থান করছেন। তার বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মালুহার গ্রামে। ২০১৯ সালের মে মাসে ঝালকাঠি সদরের খাওক্ষির গ্রামের সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় কনস্টেবল ইমরানের। দাম্পত্য কলহের জেরে এ বছরের মার্চ মাসে স্ত্রীকে তালাক নোটিশ পাঠান ইমরান। তালাক নোটিশ পেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করেন সুমাইয়া।

শিশু দুটির মা সুমাইয়ার দাবি তালাক নোটিশ পাঠানোর আরও আগে থেকে তার এবং সন্তানদের কোন ভরণপোষণ দিচ্ছেনা ইমরান।

সুমাইয়া আক্তার মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শিশু আয়ান ও আরাফ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসকরা শিশু ২টির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলেন। এতে প্রায় ৬ হাজার টাকার প্রয়োজন ছিল। বিষয়টি তিনি তার স্বামী কনস্টেবল ইমরানকে জানান। কিন্তু ইমরান টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও জানান, বাধ্য হয়ে শিশু দুটিকে নিয়ে পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের সাক্ষাতে জন্য যাই। কিন্তু প্রধান ফটকের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ইমরান মিয়া ও মো. সুমন নামে দুই পুলিশ সদস্য তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিশু সন্তানদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে রেখে চলে এসেছি। ওদের লালন পালন করতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু খরচ চালাবো কি করে।

কনস্টেবল ইমরান মোবাইল ফোনে জানান, প্রতি মাসে শিশু দুটির ভরণপোষণের জন্য আমি ৩ হাজার টাকা সুমাইয়ার ব্যাংক হিসেবে পাঠাই। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী তাদের খোঁজখবর নিই। কিন্তু মা হয়ে সে কীভাবে সন্তানদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে ফেলে গেল?

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান  সাংবাদিকদের বলেন, শিশুদের দাদা-দাদিকে খবর দেয়া হলে তারা এসে রাতে শিশু দুটিকে নিয়ে গেছে। আমরা দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছি।’

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন