২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভাইস চেয়ারম্যান মধুর প্রসংশনীয় উদ্যোগ, তবুও রক্ষা করা গেল না

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫০ অপরাহ্ণ, ২১ আগস্ট ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: অব্যাহত নদীভাঙনে কীর্তনখোলার তীর জনপদের অনেক স্থাপনা ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে মসজিদ মাদ্রাসা ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই ভাঙন রোধে দিন রাত সমান্তরাল ভাবে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। কিন্তু তারপরেও মাঝে মাঝে কীর্তনখোলার আকস্মিক ভাঙন যেন নদীতীরের বাসিন্দাদের সর্বশান্ত করে দিচ্ছে।

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়টি অব্যাহত নদী ভাঙনে এখন মানচিত্র থেকে সংকুচিত হয়ে আসছে। গত সপ্তাহে এই ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী বেশ কয়েক বসতঘরসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীভাঙনে বিলীন হয়েছে। নদীতে বিলীন হওয়া ঘরের একটি স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জব্বার প্যাদার। তিনি একমাত্র আশ্রয়স্থলটি হারিয়ে যেন রীতিমত বাকরুদ্ধ। একইভাবে ঘর হারিয়ে আরও অনেকে এখন বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে।

তবে সম্প্রতি নদীতে বিলীন হওয়া ঘরগুলোসহ আশপাশের স্থাপনা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দও দিয়েছিল। কিন্তু ভাঙনরোধে কাজ শুরু হওয়ার আগেই আকস্মিক ভাঙনে আব্দুল জব্বার প্যাদার ঘরসহ স্থাপনা নদীগর্ভে চলে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়- তীব্র ভাঙনের খবর পেয়ে কোরবানীর ঈদের আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু। এসময় তিনি স্থানীয়দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিষয়টি সদর আসনের সাংসদ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীমকে অবহিত পরবর্তীতে ‌দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ রাখবেন।

অবশ্য তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেনও। কিন্তু আকস্মিক ভাঙন যেন সব উদ্যোগ ফিকে নিয়ে গেছে। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান মধুর উদ্যোগের প্রসংশা করেছেন স্থানীয়রা। ভাইস চেয়ারম্যান মধুর উদ্যোগ যে প্রসংশনীয় ছিল তা ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার প্যাদাও স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় তুহিন মেম্বর জানান, ভাইস চেয়ারম্যান বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু ঈদের আগে শ্রমিক পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এর মধ্যে আকস্মিক ভাঙনে আব্দুল জব্বার প্যাদার ঘরটি বিলীন হয়ে যায়। এখনও আশেপাশের অনেক ঘরবাড়িসহ অসংখ্য স্থাপনা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যদিও সেগুলো রক্ষায় ভাঙনকবলিত এলাকায় ঠিকাদার কাজও শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে বালুভর্তি ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে ভাঙন কিছুটা হলেও রোধ হবে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে আব্দুল জব্বার প্যাদার ঘরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ব্যথিত এবং মর্মাহত বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন