২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভারতের পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছেন ই-অরেঞ্জের সোহেল রানা!

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:৫১ অপরাহ্ণ, ২২ জানুয়ারি ২০২৩

ভারতের পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছেন ই-অরেঞ্জের সোহেল রানা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ই অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও পুলিশের বরখাস্ত পরিদর্শক সোহেল রানা জামিন পেয়ে পালিয়েছেন বলে কলকাতার হাইকোর্টকে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে ভারতের একটি কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছিলো।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোহেল রানাকে হাজিরা দেওয়ার শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছিলো। তবে জামিনের পর থেকে সোহেল রানা হাজিরা দেননি। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জলপাইগুঁড়ি পুলিশ সুপার কলকাতার হাইকোর্টকে জানিয়েছেন।

এদিকে শনিবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়াটার্স থেকে হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে বনানী থানার বরখাস্ত পরিদর্শক সোহেল রানাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ই অরেঞ্জ বাংলাদেশ ও রেড অরেঞ্জের প্রতারণার বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়।

এর আগে, ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো. আফজাল হোসেন, মো. আরাফাত আলী, মো. তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো. হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক ২০২২ সালের মার্চ মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

রুলে গ্রাহকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, অর্থপাচারের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে সোহেল রানা, সত্ত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথি আক্তারসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে আবেদনকারীসহ অন্যান্য প্রতারিত গ্রাহকদের মাঝে সে টাকা বণ্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান আদালত।

পরে ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২ নভেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ।

গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাবেক মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই সোহেল রানা। ই-অরেঞ্জের বর্তমান মালিক বীথি আক্তার। সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে।

গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছেন গ্রাহকরা।

ওই মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানার নাম উল্লেখ করা হয়।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন