২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভিসা ছাড়া ১৯০টি দেশে যেতে পারেন তারা!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৫৫ অপরাহ্ণ, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

পৃথিবীর ১৯০টি দেশে ভিসামুক্তভাবে প্রবেশ করতে বা প্রবেশমাত্রই ভিসার সুযোগ পান একটি দেশের নাগরিকরা। এরপর রয়েছে আরেকটি দেশ যার নাগরিকরা বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারেন ১৮৯টি দেশে।

আপনি জানেন কি এই দেশ দুটির নাম? একটু সহজ করে দেওয়ার জন্যে বলে দেওয়া যেতে পারে যে এই দেশ দুটির অবস্থান এশিয়া মহাদেশে।

এ বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হ্যানলে পাসপোর্ট ইনডেক্সের জরিপের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত মাসে মিয়ানমার সরকার দেশটিতে জাপানের নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় সূর্যোদয়ের দেশটির নাগরিকরা এখন পৃথিবীর ১৯০টি দেশে ভিসামুক্ত বা প্রবেশমাত্রই ভিসার সুযোগ পাচ্ছেন।

সেই হিসাবে জাপানের পাসপোর্ট এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে এশিয়ার অপর দেশ সিঙ্গাপুর। সেই দেশের নাগরিকরা ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পেয়ে থাকেন ১৮৯টি দেশে।

এদিকে, ৪১টি দেশে ভিসামুক্ত বা প্রবেশমাত্রই ভিসার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ এ বছর তালিকায় ১০০তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর তালিকায় বাংলাদেশ ছিলো ৯৫তম অবস্থানে। এক বছরেই তা পিছিয়েছে পাঁচ ধাপ। তবে তালিকায় যে ৪১টি দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেসব দেশের অনেকগুলোতে আবার শুধুমাত্র সরকারী চাকরিজীবীরা ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পান। দেশের সাধারণ নাগরিকরা থাকেন সেই সুযোগের বাইরে। তালিকায় আরও দেখা যায় যে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ ছিলো ৬৮তম অবস্থানে এবং প্রতি বছরই তালিকায় এর অবস্থান পিছিয়ে যাচ্ছে।

এরপরে বা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে একাধারে তিনটি দেশ। সেই দেশগুলো হলো- জামার্নি, ফ্রান্স এবং দক্ষিণ কোরিয়া।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলোর তালিকায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য রয়েছে তারও পরের অবস্থানে। দেশ দুটির নাগরিকরা ভিসামুক্তভাবে প্রবেশ করতে বা প্রবেশমাত্রই ভিসার সুযোগ পেয়ে থাকেন ১৮৬টি দেশে।

তালিকায় ৪৭তম অবস্থানে রয়েছে পৃথিবীর অপর শক্তিশালী দেশ রাশিয়া। আরেকটি শক্তিশালী দেশ চীনের অবস্থানও বেশ হতাশাব্যাঞ্জক। তালিকায় এই দেশটির অবস্থান ৭১তম। আশার কথা হচ্ছে, গত এক বছরে চীন তালিকায় ১৪ ধাপ এগিয়েছে।

তবে তালিকায় নিজের অবস্থান বদলে দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০০৬ সালে তালিকায় দেশটি ছিলো ৬২তম অবস্থানে। গত এক দশকে তা এসে দাঁড়িয়েছে ২১ নম্বরে।

জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা হ্যানলে অ্যান্ড পাটনার্স-এর চেয়ারম্যান ক্রিস্টিয়ান এইচ কালিন এক বার্তায় বলেন, “দেশগুলো যখন একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় এবং আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে তখনই তালিকায় সেই দেশগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন হয়।”

তার মতে, “এই যে ধরুন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং চীনের কথা। এই দেশ দুটি বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো এগিয়েছে। এর কারণ দেশ দুটি বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।”

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন