২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ভিসিবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের হয়রানি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:২১ পূর্বাহ্ণ, ১৭ মে ২০১৯

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়ার পাঁয়তারা চলছে।

উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক ছুটিতে থাকাকালীন ১৮ এপ্রিল তার স্বাক্ষরে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধাবাদী লোকদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়। তাই আগামী ২৭ মে ছুটি থেকে ফিরে সিন্ডিকেট সভা ডেকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যাতে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয় সেজন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসানের কাছে ২৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ২৮ দফা দাবির সঙ্গে এসব বিষয় উপাচার্যকে অবহিত করা হয়।

বর্তমান উপাচার্য ড. এ কে এম মাহবুব হাসান শিক্ষার্থীদের ২৮টি যৌক্তিক দাবির মধ্যে কিছু দাবি পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। বাকি দাবিগুলো ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্নাতক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ফল আসার আগেই স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে মেশিন রিডেবল আইডি কার্ড, হেলথ কার্ড , লাইব্রেরি কার্ড দিতে হবে। বিদ্যমান ব্যাচগুলোর মধ্যে ১৫ দিনের মধ্যে সবাইকে আইডি কার্ডসহ এ সুবিধা দিতে হবে। সেমিস্টার ফি কমাতে হবে। মাস্টার্সের ভর্তি ফি কমিয়ে ৫ হাজার টাকা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, সর্বনিম্ন ফি এ মার্কসিট উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে, ল্যাব ফি ২৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০০ টাকা করতে হবে এবং ল্যাব সুবিধা বাড়াতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের টানা ৩৫ দিনের আন্দোলনের মাথায় উপাচার্য এসএম ইমামুল হককে তার মেয়াদকাল পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ট্রেজারার অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসানকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৬ মে পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালেও তিনি ২৭ মে একদিন তার মেয়াদ থাকায় সেদিন সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে উপাচার্য ইমামুল হক ছুটিতে থাকাকালীন গত ১৮ এপ্রিল তার স্বাক্ষরে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধাবাদী লোকদেরকে পদোন্নতি দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ছুটিতে থাকা উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের মোবাইলে বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন